'অশালীন' মন্তব্যের পাল্টা কৌশল হিসাবে রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি ও আদিবাসী মহিলার প্রতি ' সম্মানহানিকর কটূকথা ' বলার জন্য দলের তরফে মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হলেও, শনিবার, শুভেন্দু নিজেই কবুল করেছিলেন, ''মন্ত্রীসভা থেকে অখিলকে সরানো রাজ্যপালের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, আমরা চাই রাজ্যপাল তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন।" শনিবার সংবাদ মাধ্যমে এই দাবি জানালেও, শুভেন্দুকে রাজভবনে ডাকেননি রাজপাল। এতে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সচিবের হাতেই বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি পত্র দিয়ে আসেন। এরপরেই রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, "উনি রাজভবনে নেই৷ তা উনি ইম্ফলে থাকুন বা দিল্লিতে থাকুন। আমরা চাই, ই-মেইলে বা অন্য কোনও ভাবে, কীভাবে জানি না, তবে উনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন।"
advertisement
রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। অগ্নিমিত্রা সরসরি বলেন, 'রাজ্যপালের সচিব একটু বেশি কৌশলি হচ্ছেন। এটা আমাদের ভাল লাগেনি।' রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য জানানোর জন্য তাকেই প্রথমে এগিয়ে দেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন : 'কমিশনের' টাকা গুনে জেরবার জীবন! 'নুন-ভাত' খেয়ে অভিনব আন্দোলনে অ্যাপ ক্যাব চালকরা
সোমবার বিধানসভা থেকে রাজভবনে যাবার আগে, পরিষদীয় দলের কাছে কৌশল স্পষ্ট করতে বিধায়কদের বিধানসভায় ডেকেছিলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, সেখানেই বর্তমান রাজ্যপাল লা গনেশন এর কাছে দরবার করা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে প্রাক্তন রাজ্যপাল ও বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতির ভূমিকার সঙ্গে বর্তমান রাজ্যপালের 'সহযোগিতার' নানা প্রসঙ্গ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধীদল নেতা যেভাবে পদে পদে ধনকরের সহায়তা পেয়েছেন, যেকোনও কারনেই হোক গণেশনের থেকে এখনও তা অধরা৷ সম্প্রতি গণেশনের আমন্ত্রনে তাঁর পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেন্নাই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই রাজভবন ও শুভেন্দুর সম্পর্কে তাল কেটেছে।