অভিযোগ, বিধানসভার অধিবেশনে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় ১৭ মিনিট থেকে বাড়তি প্রায় ৫ মিনিট অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজের বক্তব্য পেশ করেন। আপত্তি জানান বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘স্পিকার তাঁকে বাধা না দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে বলার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্যের গোটোটাই ছিল অসত্যে ভরা। আমার প্রশ্নের একটিও উত্তর দিতে পারেন নি। লাগাতার আমাকে ও আমাদের বিধায়কদের আক্রমণ করেছেন।’’
advertisement
শুভেন্দুর এও অভিযোগ, ‘‘আমাদের বিধায়ক অশোক দিন্দাকে সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।’’ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘বিধানসভার অধিবেশনে একজন মুখ্যমন্ত্রীর যা স্ট্যাটাস, অন্য সদস্যদেরও এক স্ট্যাটাস। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে কারোর জন্য আলাদা চেয়ার থাকে না। অথচ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়করা বললেই সব সময় তাঁদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়। তবে শাসক দলের কেউ প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপিকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করলেও তিনি তাতে কোনও অন্যায় দেখতে পান না।’’
আরও পড়ুন– সাবধান; রাহু-কেতুর অবস্থান পরিবর্তন! কীভাবে তা প্রভাবিত করবে আপনার ভাগ্যকে জানুন এখনই
শুভেন্দু অধিকারীর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘বিধানসভার কক্ষকে অসংসদীয়ভাবে রাজনীতির মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাঁর দলের বিধায়করা, মণিপুর-সহ অন্যান্য বিচারাধীন ইসুতে বক্তব্য পেশ করলে অধ্যক্ষ তাতে কোনও আপত্তি জানান না। কিন্তু বিরোধী দলনেতা কিংবা বিরোধী দলের বিধায়করা সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে সরব হলেই বক্তব্য পেশ করতে অন্যায়ভাবে বাধা দেন অধ্যক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী-সহ শাসক দলের বিধায়করা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে বলা শেষ না হলেও অধ্যক্ষ লাল অথবা সবুজ আলো জ্বালান না। অথচ আমার ক্ষেত্রে সেই আলো জ্বালানো হয়ে থাকে।’’
বলা বাহুল্য, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য রাখার সময় সরকারপক্ষের সঙ্গে তুমুল হট্টগোল শুরু হয় শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের। প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপির বিধায়করা।
সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ইস্যুতেই মঙ্গলবার সরগরম ছিল রাজ্য বিধানসভা। একদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রস্তাব আনে তৃণমূল। পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হল এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।