সারদা চিট ফান্ড মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন সিবিআই 'অনাগ্রহী'? উনি কি মুখ্যমন্ত্রী বলে? নাকি প্রভাবশালী বলে? এমনটাই প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর। বগটুই থেকে নিয়োগ দুর্নীতি। প্রতি ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই শুভেন্দুই কি এবার 'হতাশ' সিবিআই তদন্তে? প্রশ্ন তুলে দিল সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিরোধী দলনেতার চিঠি। যাতে সারদা চিটফান্ড তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। যিনি তাঁর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সারদা থেকে সুবিধা ভোগ করেছেন। সারদা থেকে সবথেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন। তবুও কেন সিবিআই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করছে? তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চেয়ারের ওজনের জন্যই কি এগোতে পারছে না সিবিআই? কিন্তু ক্ষমতাশালীরা যাতে ছাড় না পান, সেই কারণেই তো সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি শুভেন্দুর। তবে, শুভেন্দু একা নন। কিছু দিন আগে দিলীপ ঘোষের গলাতেও শোনা গিয়েছে সিবিআই তদন্তে অনাস্থার কথা।
advertisement
গত কয়েকমাস ধরে সিবিআই তদন্ত চলছে। কোনও প্রভাব পড়ছে না। বিজেপির অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সিবিআই ক’জনকে সাজা দিয়েছে? এই প্রশ্নও তুলেছিলেন দিলীপ। বগটুই-এর প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রীও। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেন, ‘‘বগটুইয়ে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁকে সিবিআইয়ের হেফাজতে মেরে ফেলা হল। বঙ্গে একাধিক ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে বিজেপি সরব। এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের একাংশের সিবিআই-এর প্রতি 'অনাস্থা' নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য রাজ্য পদ্ম নেতৃত্বেরও একই সুর। সবাই বলছে, ‘‘আমরা চাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সারদা মামলা-সহ সব ক্ষেত্রেই দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। আপরাধীরা সাজা পাক ৷ ’’
