কামদুনিতে শুভেন্দু অধিকারীর সুর সপ্তমে। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ধর্ষকদের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ নির্যাতিতার বাড়ির সামনে কোনও পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, এই সরকার ধর্ষণকারীদের সরকার।’’ কামদুনির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এ সবই লোক দেখানো।’’
আরও পড়ুন– বঞ্চনা বনাম দুর্নীতি! লক্ষ্য ২৪, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি
advertisement
কামদুনির প্রতিবাদ। একদিকে যেমন কলকাতায় মিছিল। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে গান্ধিমূর্তি পর্যন্ত। ঠিক তখনই বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে প্রতিবাদ মিছিল হল কামদুনিতে। যে মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘সিবিআই তদন্ত চাই’, হাতে এই লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মহিলা মোর্চার মিছিলে পায়ে পা মেলালেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার কামদুনি মোড়ে মিছিল শেষ হওয়ার পর মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর এক প্রতিবাদ সভাতেও বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানেই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘কামদুনি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। আগামী দিনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা সব ধরনের আইনি সহায়তা দেব।’’
রাজারহাট থেকে কামদুনি পর্যন্ত মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই রায় মেনে নিতে পারেনি। সিআইডি যেভাবে এই কেসটাকে দুর্বল করেছে। গত ১০ বছরে ১৫ বার পিপি চেঞ্জ করে কেসটাকে খতম করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।’’ বলা বাহুল্য, কামদুনি গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা। ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ে এদের প্রত্যেকেরই সাজা কমে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের সুবাদে, সোমবার ৪ জন জেল থেকে মুক্তি পান। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়াকেও বেকসুর খালাস করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। একে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার পথে নামল কামদুনি। বিচারের আশায় এবার তারা সুপ্রিম কোর্টের পথে।