Story of Eli Cohen: বছরের পর বছর ধরে ছদ্মবেশে ইজরায়েলে তথ্য পাচার করেছিলেন ‘সিক্রেট এজেন্ট’ এলি কোহেন; তাঁর গল্পই ফুটে উঠেছে নেটফ্লিক্সের ‘দ্য স্পাই’-এ

Last Updated:
Story of Eli Cohen, the Spy: কোহেনের এই গল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল ‘দ্য স্পাই’। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছিল গাইডিওন রাফ পরিচালিত ৬টি পর্বের এই মিনি সিরিজ।
1/7
ইজরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মতো হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি গুপ্তচর সংস্থা রয়েছে সারা বিশ্বে। আর এই সব সংস্থার মধ্যে খুব কমই এজেন্ট রয়েছেন, যাঁরা এলি কোহেনের উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছেন! ১৯৬০-এর মাঝামাঝি সময় থেকে কয়েক বছর ধরে যিনি আরব ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধরেছিলেন। মূলত সিরিয়ার শাসনের উচ্চ স্তর ভেদ করে ইজরায়েলি হ্যান্ডলারদের হাতে অমূল্য ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করতেন তিনি। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
ইজরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মতো হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি গুপ্তচর সংস্থা রয়েছে সারা বিশ্বে। আর এই সব সংস্থার মধ্যে খুব কমই এজেন্ট রয়েছেন, যাঁরা এলি কোহেনের উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছেন! ১৯৬০-এর মাঝামাঝি সময় থেকে কয়েক বছর ধরে যিনি আরব ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধরেছিলেন। মূলত সিরিয়ার শাসনের উচ্চ স্তর ভেদ করে ইজরায়েলি হ্যান্ডলারদের হাতে অমূল্য ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করতেন তিনি। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
advertisement
2/7
কোহেনের এই গল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল ‘দ্য স্পাই’। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছিল গাইডিওন রাফ পরিচালিত ৬টি পর্বের এই মিনি সিরিজ। সেখানে উঠে এসেছিল এলি কোহেনের রূপান্তরও। যেখানে তিনি অফিসের ক্লার্ক থেকে হয়ে উঠেছিলেন মোসাদের সক্রিয় কর্মী। ‘দ্য স্পাই’ মিনি সিরিজের সত্য ঘটনার দিকে একবার চোখ রাখা যাক। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
কোহেনের এই গল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল ‘দ্য স্পাই’। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছিল গাইডিওন রাফ পরিচালিত ৬টি পর্বের এই মিনি সিরিজ। সেখানে উঠে এসেছিল এলি কোহেনের রূপান্তরও। যেখানে তিনি অফিসের ক্লার্ক থেকে হয়ে উঠেছিলেন মোসাদের সক্রিয় কর্মী। ‘দ্য স্পাই’ মিনি সিরিজের সত্য ঘটনার দিকে একবার চোখ রাখা যাক। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
advertisement
3/7
কে ছিলেন এই এলি কোহেন? এলিইয়াহু (এলি) কোহেন একজন মিশরীয় ইহুদি। ১৯২৪ সালে আলেকজান্দ্রিয়াতে জন্ম তাঁর। তরুণ এলি গোপনে মিশরীয় ইহুদিদের সাহায্য করতেন, যাঁতে তাঁরা ইজরায়েলে অভিবাসন করতে পারেন। পরবর্তী কালে কোহেন মিশরের ইজরায়েলি স্পাই নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে ওঠেন কোহেন। তবে ১৯৫৪ সালে এর হদিশ পান মিশরীয় কর্তৃপক্ষ এবং তা ভেঙেও ফেলা হয়েছিল। (Photo Courtesy: Mossad archives)
কে ছিলেন এই এলি কোহেন? এলিইয়াহু (এলি) কোহেন একজন মিশরীয় ইহুদি। ১৯২৪ সালে আলেকজান্দ্রিয়াতে জন্ম তাঁর। তরুণ এলি গোপনে মিশরীয় ইহুদিদের সাহায্য করতেন, যাঁতে তাঁরা ইজরায়েলে অভিবাসন করতে পারেন। পরবর্তী কালে কোহেন মিশরের ইজরায়েলি স্পাই নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে ওঠেন কোহেন। তবে ১৯৫৪ সালে এর হদিশ পান মিশরীয় কর্তৃপক্ষ এবং তা ভেঙেও ফেলা হয়েছিল। (Photo Courtesy: Mossad archives)
advertisement
4/7
 ১৯৫৬ সালের সুয়েজ সঙ্কটের সময় কোহেন ইজরায়েলে পৌঁছন। কোহেন স্বেচ্ছায় ইজরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থায় যোগদান করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৬০ সাল নাগাদ সিরিয়া সীমান্তে অশান্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ইজরায়েলি ইন্টেলিজেন্স কোহেনকে নিয়োগ করে। ছয় মাসেরও বেশি সময় ইজরায়েলে প্রশিক্ষণ পান তিনি। এরপর বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনায় সিরিয়ার প্রবাসী সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছিল কোহেনকে। মোসাদ এজেন্ট হিসেবে এলি কোহেন কী করেছিলেন? দক্ষিণ আমেরিকায় কোহেন একজন বিত্তশালী ব্যবসায়ীর ভেক ধরেন। আর সিরিয়ায় প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী মানুষদের বিশ্বাস অর্জনেও সফল হন তিনি। গড়ে ওঠে বন্ধুত্বও। (SOURCE: NOAM NACHMAN-TEPPER (2018), HTTPS://BLOG.NLI.ORG.IL/EN/ELI-COHEN/)
১৯৫৬ সালের সুয়েজ সঙ্কটের সময় কোহেন ইজরায়েলে পৌঁছন। কোহেন স্বেচ্ছায় ইজরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থায় যোগদান করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৬০ সাল নাগাদ সিরিয়া সীমান্তে অশান্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ইজরায়েলি ইন্টেলিজেন্স কোহেনকে নিয়োগ করে। ছয় মাসেরও বেশি সময় ইজরায়েলে প্রশিক্ষণ পান তিনি। এরপর বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনায় সিরিয়ার প্রবাসী সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছিল কোহেনকে। মোসাদ এজেন্ট হিসেবে এলি কোহেন কী করেছিলেন? দক্ষিণ আমেরিকায় কোহেন একজন বিত্তশালী ব্যবসায়ীর ভেক ধরেন। আর সিরিয়ায় প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী মানুষদের বিশ্বাস অর্জনেও সফল হন তিনি। গড়ে ওঠে বন্ধুত্বও। (SOURCE: NOAM NACHMAN-TEPPER (2018), HTTPS://BLOG.NLI.ORG.IL/EN/ELI-COHEN/)
advertisement
5/7
১৯৬২ সালের গোড়ার দিকে দামাস্কাসে তাঁদের জরুরি চিঠি নিয়ে যাওয়ার আগে রীতিমতো ছক কষেন কোহেন। সবার সঙ্গে মেলামেশা করতেন, নিজের বাড়িতে পার্টিও দিতেন। যেখানে যোগ দিতেন সিরিয়ার উচ্চপদস্থ অফিসাররা। আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক গল্প বার করে আনতেন কোহেন। নতুন বন্ধুরা তাঁকে সিরিয়ার সেনা ঘাঁটি পরিদর্শনের জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এমনকী গোলান হাইটসও দেখার আমন্ত্রণ পান কোহেন। পরে ১৯৬৭ সালের ছয়দিন ব্যাপী যুদ্ধে এই জায়গার দখল নিয়েছিল ইজরায়েল। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
১৯৬২ সালের গোড়ার দিকে দামাস্কাসে তাঁদের জরুরি চিঠি নিয়ে যাওয়ার আগে রীতিমতো ছক কষেন কোহেন। সবার সঙ্গে মেলামেশা করতেন, নিজের বাড়িতে পার্টিও দিতেন। যেখানে যোগ দিতেন সিরিয়ার উচ্চপদস্থ অফিসাররা। আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক গল্প বার করে আনতেন কোহেন। নতুন বন্ধুরা তাঁকে সিরিয়ার সেনা ঘাঁটি পরিদর্শনের জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এমনকী গোলান হাইটসও দেখার আমন্ত্রণ পান কোহেন। পরে ১৯৬৭ সালের ছয়দিন ব্যাপী যুদ্ধে এই জায়গার দখল নিয়েছিল ইজরায়েল। (Photo Courtesy-Wikipedia/Netflix)
advertisement
6/7
এভাবেই সিরিয়ার রাজনৈতিক এবং সামরিক শ্রেণীবিন্যাস ভেদ করে একের পর এক ইন্টেলিজেন্স আপডেট ইজরায়েলের হাতে পাচার করে গিয়েছেন এলি কোহেন। তবে ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে ছুটিতে ইজরায়েলে ফেরেন কোহেন। ছুটি কাটিয়ে সিরিয়ায় ফিরে আবার নিজের কাজ শুরু করেন। কোড দেওয়া তথ্য ছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে তথ্য ইজরায়েলে পাঠাতেন। (Photo Courtesy: Israel PMO)
এভাবেই সিরিয়ার রাজনৈতিক এবং সামরিক শ্রেণীবিন্যাস ভেদ করে একের পর এক ইন্টেলিজেন্স আপডেট ইজরায়েলের হাতে পাচার করে গিয়েছেন এলি কোহেন। তবে ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে ছুটিতে ইজরায়েলে ফেরেন কোহেন। ছুটি কাটিয়ে সিরিয়ায় ফিরে আবার নিজের কাজ শুরু করেন। কোড দেওয়া তথ্য ছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে তথ্য ইজরায়েলে পাঠাতেন। (Photo Courtesy: Israel PMO)
advertisement
7/7
কিন্তু একটি ভুলের জন্য সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টা বুঝতে পেরে যায়। সম্ভবত সোভিয়েত রেডিও-ডিটেকশন ইক্যুইপমেন্টের সাহায্যে সিরিয়ার সেনা ১৯৬৫ সালের প্রথম দিকে কোহেনের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেছিল। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান কোহেন। তবে কোহেনকে প্রাণে না মারার জন্য অনুরোধ করেছিল ইজরায়েল ও ইউরোপ সরকার। এমনকী পোপেরও একই অনুরোধ ছিল। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি সিরিয়া। কোহেন মৃত্যুদণ্ড পান এবং তাঁর উপর নৃশংস ভাবে অত্যাচার চালানো হয়। ১৯৬৫ সালের ১৯ মে দামাস্কাসে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। (Photo-Netflix)
কিন্তু একটি ভুলের জন্য সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টা বুঝতে পেরে যায়। সম্ভবত সোভিয়েত রেডিও-ডিটেকশন ইক্যুইপমেন্টের সাহায্যে সিরিয়ার সেনা ১৯৬৫ সালের প্রথম দিকে কোহেনের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেছিল। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান কোহেন। তবে কোহেনকে প্রাণে না মারার জন্য অনুরোধ করেছিল ইজরায়েল ও ইউরোপ সরকার। এমনকী পোপেরও একই অনুরোধ ছিল। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি সিরিয়া। কোহেন মৃত্যুদণ্ড পান এবং তাঁর উপর নৃশংস ভাবে অত্যাচার চালানো হয়। ১৯৬৫ সালের ১৯ মে দামাস্কাসে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। (Photo-Netflix)
advertisement
advertisement
advertisement