শনিবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু-রাজ্যপাল বৈঠক শেষে রাজভবনের নর্থ গেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘আমি রাজ্যপালকে বলেছি রাজ্যের তথ্য কমিশনার নিয়োগ প্রস্তাব সরকারের তরফে সঠিক পদ্ধতি মেনে করা হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস বীরেন্দ্রকে তথ্য কমিশনার নিয়োগ করার পাশাপাশি সরকারের লোকায়ুত বিলেও যাতে রাজ্যপাল অনুমোদন না দেন সেটাও বলেছি। এই দুটি ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা হয়নি, তাও বিস্তারিত রাজ্যপালকে জানিয়েছি। সঠিক নিয়ম মেনে এবং অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ঘরে বৈঠক হলে তিনি অংশ নেবেন না, সরকারি কোনও সভা ঘরে বৈঠক হলে বিরোধী দলনেতা তথ্য কমিশনার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ক্ষেত্রে সেই বৈঠকে হাজির হবেন।’’
advertisement
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘রাজ্যপালের বিদায়ী প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী সম্পর্কে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এদিনের বৈঠকে তাঁকে বলেছেন যে, আমার বক্তব্যে আমি 'জয় বাংলা' স্লোগান বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের জয় হোক, ভারত মাতার জয় হোক। কিন্তু আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির লেখা বয়ানে বাংলাদেশের স্লোগান 'জয় বাংলা' লিখে দেওয়া হয়েছিল।’’
এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু। সম্প্রতি রাজ্যপালের হাতেখড়ি , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা-সহ রাজ্যপালের বিভিন্ন বক্তব্য, ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতা। সেই তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এক কথায় চরম সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নানা ইস্যুতে শনিবার দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করায় সেই সংঘাতে ইতি পড়ল বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের।