বিয়ের আনন্দে মশগুল ছিলেন সকলেই। কিন্তু আচমকাই সেই আনন্দ ম্লান হয়ে গেল। ছাদনাতলাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন খোদ কনে। জানা যায়, বিয়ের আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনাই আরও এক বার প্রমাণ করে দিল যে, আজকালকার দিনে অল্প বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ছে। গুজরাতের ভাবনগরের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুভাষনগর এলাকায় ভগবানেশ্বর মন্দিরের সামলে পশুপালক পরিবারের জিনাবাই ভাকাভাই রাঠোরের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ফলে বাড়িতে হইচই আনন্দের আবেশ ছিল। অতিথি এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাড়ি হয়ে উঠেছিল সরগরম। চলছিল গানবাজনা। জিনাভাই রাঠোরের কন্যা হেতালের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল নারী গ্রামের রাণাভাই বুটাভাই আলগোটারের পুত্র বিশালের।
কিন্তু নিয়তিতে হয়তো অন্য কিছুই লেখা ছিল। বিয়ের আগে হেতালের মাথা ঘুরতে শুরু করেছিল। ছাদনাতলাতেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন কনে। এর পর ১০৮-এর সহায়তা নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হেতালকে বাঁচানো যায়নি। কারণ তত ক্ষণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ফলে যে বাড়ি একটু আগেই বিয়ের গানে সরগরম ছিল, বাড়ির মেয়ের মৃত্যুতে সেখানেই নেমে আসে শোকের ছায়া। ভেঙে পড়েন বর যাত্রীরাও।
এমন পরিস্থিতিতে মৃতা কনের ছোট বোনের সঙ্গে বরের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুই পরিবার। বরযাত্রীদের যাতে খালি হাতে ফিরে যেতে না-হয়, সেই জন্য কনের পরিবারকে বোঝানো হয়, যাতে তাঁরা পরিবারে ছোট মেয়ের বিয়ে হেতালের হবু বরের সঙ্গে দিতে রাজি হন। অবশেষে রাজি হয় হেতালের পরিবার। ওই ছাদনাতলাইতেই চার হাত এক হয়। ভাবনগর শহরের নগরসেবক এবং মালধারী সমাজের নেতা লক্ষ্মণভাই রাঠোর বলে, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখের।