ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন। যদিও সেই বৈঠকে গরহাজির থেকেছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। আর সেই প্রস্তাব পেশের দিনেই বিরোধিতা করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিজেপির অন্য বিধায়করা। অন্তত তেমনটাই খবর রাজভবন সূত্রের।
advertisement
সব ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টের সময় প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি বিধায়কেরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই রাজভবনের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। রাজ্যপাল সেই সময়ও দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের জন্য তারিখের সন্ধান চলছিল। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে হওয়া বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের জন্য একাধিক দিন উঠে আসে। যার মধ্যে বেশিরভাগ জনই ১লা বৈশাখের দিনটির পক্ষে রায় দেন। পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দিন পালনের পাশাপাশি কোন গান রাজ্যসঙ্গীত হতে পারে তার প্রস্তাবও আগামিকাল গৃহীত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি গত ২০ জুন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে মানতে নারাজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ফোনে অনুরোধ জানিয়ে ও পরে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে এই আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন সভা ঘরে হওয়া বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বণিক সভার প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহিত্যিকরাও উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে তাঁদেরও মতামত নেওয়া হয় ওই দিনের বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে একাধিক মতামত উঠে হলেও এখন দেখার বিধানসভায় কী প্রস্তাব উঠে আসে বৃহস্পতিবার।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়