এখানেই শেষ হয়নি এদিনের ঘটনাক্রম৷ এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে ডেকে পাঠানোর নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ৮ জুন, বৃহস্পতিবার অভিষেকের স্ত্রীকে তলব করেছে ইডি। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৃতদেহটাও তো মেলেনি! ১৩ বছর ধরে বাবার বুকপকেটে মেয়ের ছবি, কোথাও যদি একবার দেখা মিলে যায়..
advertisement
এদিন অভিষেক পত্নী রুজিরাকে কলকাতা বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া এবং ED এর তলব প্রসঙ্গে চড়া সুরে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘‘রুজিরা জানতেন, ওঁকে আটকানো হবে৷ লুকআউট নোটিস আছে। দেশে আইন কানুন আছে। ২০১৪ সালে পর এত বিদেশ যাওয়া কেন! পয়সা আসে কোথা থেকে!’’
রুজিরাকে ইডি তলব করা প্রসঙ্গেও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন শুভেন্দু, ‘‘এদের তলব করছে কেন? ফেমা লাগা উচিত। কিছুটা তো চাপে আছেই। তদন্ত তো চলছে জোড়া তলবে!এরা যা যা করে রেখেছে..৷’’
এদিন রুজিরা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, “অমানবিক জিনিস চলছে৷ রুজিরাকে আটকানো অমানবিক। মৃত্যু মিছিলের মধ্যে দানবীয় কাজ।’’
এদিন কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নয়াদিল্লিতে তলব করে ইডি৷ এ প্রসঙ্গেও এদিন প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি যেটুকু জানি পাঁচবার তলব করা হয়েছে। উনি যাননি। একাধিকবার আদালতে গেছে। কো অপারেট করেননি। এদের সাহায্য করা উচিত ছিল।’’