শুভেন্দু অধিকারীর এও দাবি, ‘‘নবান্ন অভিযানে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা তো নিরস্ত্র ছিলেনই, এমনকী তাদের সঙ্গে যে দলীয় ঝান্ডা ছিল তার ডান্ডাও ছোট ছিল।’’ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘পুলিশ অন্যায় ভাবে শান্তিপূর্ণ মিছিলে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি নবান্ন অভিযান ঠেকাতে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের আক্রমণের মুখে পড়ে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী- সমর্থকরাই গুরুতর আহত হয়েছেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন- ‘সপ্তপদী রিভিজিটেড...’, রিনা ব্রাউনের কথা মনে করালেন শুভেন্দু...এমনটা কেন বললেন কুণাল?
প্রসঙ্গত, এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন, দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পিসিআর ভ্যান। ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কার্যত ভষ্মীভূত হয়ে যায় পুলিশের গাড়ি। পুড়ে ছাই হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। আতঙ্কে এদিন এলাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দোকান বন্ধ করে চলে যান। দমকল এসে পুলিশের গাড়িতে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে শুধু এমজি রোড, লালবাজার, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট কিংবা কলেজ স্কোয়ারই নয়, হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছিতেও বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ইট-বৃষ্টি, লাঠিচার্জ, পুলিশের গাড়িতে আগুন, পুলিশ-বিক্ষোভকারী ধস্তাধস্তি থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন জায়গায় ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। ব্যবহার করা হয় জলকামানও।
বেহালার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাঁতরাগাছি যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ওঠার মুখেই গতকাল, মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে গার্ডওয়াল দিয়ে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাকে। লালবাজারে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুলিশ আমাকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘক্ষণ লালবাজারে আটকে রেখেছে।’’ লালবাজার থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী।