‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানোর ছক কষছে রাজ্য পুলিশ’। এই বিস্ফোরক অভিযোগ করে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে অনেক আগেই সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। আগামী ৮ জুলাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তারও প্রসঙ্গ সামনে এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের খড়গপুরে লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন, চিৎকার-কান্না, শয়ে শয়ে যাত্রী ছুটলেন স্টেশনের দিকে
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েও শাহি বৈঠকে সে কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, এমনই খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভোটে অশান্তির আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রয়োজনে বাহিনী দেওয়ার বিষয়ে শুভেন্দুকে আশ্বস্ত করেছেন শাহ বলেও বিশেষ সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে চাওয়া হল ফুটেজ, অভিষেক মঙ্গলবার হাজির না হলে কী হবে? ইডি-র অন্দরে ঝড়
শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রায় সব নেতৃত্ব বারবারই বলে থাকেন যে, তাঁদের রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিংসামুক্ত ভোট হওয়া অসম্ভব। একই সঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগেও সরব হতে দেখা যায় পদ্ম নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার যে দাবি বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তুলেছে তা আদৌ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় কিনা তার উত্তর দেবে সময়ই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশেই আস্থা রেখে ভোট পরিচালনার কথা বললেও শুভেন্দু অধিকারী এখনও আশাবাদী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিচালনাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে।