সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,"বর্তমান ভারত মোদিজির হাতে সুরক্ষিত। নতুন প্রজন্ম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির কাজ দেখে স্বপ্ন দেখে। আমরা দুর্বল রাষ্ট্রনেতা চাই না। তাহলে আমাদের দেশও ইউক্রেন হয়ে যাবে, আফগানিস্তান হয়ে যাবে। আমরা অমর্ত্য সেনের চিন্তাভাবনার সঙ্গে এক মত নই।"
মাত্র একদিন আগেই বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের উষ্মা প্রকাশ করেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-অধ্যাপকেরা 'প্রতীচী' বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তিনি। কথোপকথনে বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে নানান মন্তব্য করেন ভারতরত্ন অমর্ত্য সেন। এছাড়াও, দিল্লির কিছু লোকজন আছে যারা আমাকে পছন্দ করেন না, হাসির ছলে বলেন তিনি।
advertisement
শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বসে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান থেকে শুরু করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ভূমিকা, পড়ুয়াদের বহিষ্কার প্রসঙ্গে সমালোচনা করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
এরপরেই ফের জমি ফেরত চেয়ে তাঁকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়িতে ১৩ ডেসিম্যাল অতিরিক্ত জমি রয়েছে, যা বিশ্বভারতীর। সেই জমি ফেরত চাওয়া হয়। প্রয়োজনে অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর উপস্থিতিতে জমি জরিপের প্রস্তাবও দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। এমনকি, বুধবারের উপাসনা গৃহের বসে নাম না করে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর সহ পড়ুয়া-প্রাক্তনীরা।
এর পাশাপাশি সেই সময়ে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-অধ্যাপকেরা। বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকলাপ তুলে ধরেন। নানান প্রশ্ন করে পড়ুয়া-অধ্যাপকদের কাছ থেকে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি জানতে চান অমর্ত্য সেন।
আরও পড়ুন, রাজ্যে ফের অমিত শাহ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোড়া সভার ইঙ্গিত কোথায় কোথায়?
আরও পড়ুন, রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান 'বয়কট' শুভেন্দুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন কারণ...
অন্যদিকে, এর পরেই জমি বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বিস্ফোরক ও চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি জানালেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কোনও নোবেল পুরস্কার পাননি। নিজের দাবির পক্ষে তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, জমি অমর্ত্য সেন দখলে করে রেখেছেন এবং বিশ্বভারতীর কাছে সমস্ত নথি আছে বলেই ফের দাবি করেন তিনি।