ঘটনার নিন্দা করে পুলিশকে এক হাত নিয়ে আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন শুভেন্দু। এবার ফের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়,' দলদাসে পরিণত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। শুধুমাত্র 'পিসি- ভাইপো'র সুরক্ষা দিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা না ভেবে, আইন-শৃঙ্খলায় নজর না দিয়ে, শুধু মিথ্যে মামলা আর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে টাকা আদায় করাই পুলিশের এখন একমাত্র কাজ হয়েছে'। প্রসঙ্গত, সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রগতি ময়দান থানায় শিল্পীর স্ত্রী এবং ছোট মেয়েকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: থমকে গেল সব ট্রেন, বর্ধমান সহ গোটা অঞ্চলে সাত সকালেই বিপত্তি! কী এমন ঘটল?
শিল্পীর পরিবারের দাবি যে ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দেওয়ায় চালককে আটক করা হয়েছিল।পরে রাশিদ খানকেও থানায় ডেকে পাঠানো হয়। থানায় গেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর জন্য রাশিদ খানের গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছিল। রাশিদ খানের চালকের বিরুদ্ধে ১৮৫ অর্থাৎ ড্রিংক এন্ড ড্রাইভ- এ কেস হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই রাশিদ খানের চালকের বিরুদ্ধে গত মে মাসে ড্রিঙ্ক এন্ড ড্রাইভ এর কেস হয়েছিল সম্ভবত সাউথে ভবানীপুর থানায়. তখনও মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল৷
আরও পড়ুন: আজ ফের মুখোমুখি মোদি-মমতা! জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
যদিও চালকের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর পুলিশের দাবি মানতে চায়নি রাশিদ খানের পরিবার। আইনি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন শিল্পীর পরিবার৷ রাশিদ খানের স্ত্রী জানিয়েছেন, "আমাদের লিগাল টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। কী পদক্ষেপ করব সেটা খুব শিগগিরই আমরা জানাবো'। এদিকে গোটা ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। শিল্পী এবং শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ফোনে বৃহস্পতিবার কথা বলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্তা।