নিজের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী এও লেখেন, ‘ধীরে ধীরে বসিরহাট মহকুমা থেকে গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটা বড় অংশে এই শাহজাহান শেখ নিজের আধিপত্য কায়েম করে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর, বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হওয়ার ফলে বসিরহাট জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর যে নারকীয় রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল তার অন্যতম মাথা ছিল এই শাহজাহান শেখ। প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল সহ সন্দেশখালি এলাকার একাধিক নেতা কর্মীকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এই শাজাহান শেখ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এখনও খুললামখুল্লা ঘুরে বেড়াচ্ছে কারণ তার মাথায় রাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রভাবশালীর হাত রয়েছে’।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ফোনেই হবে কাজ! ক্যানিং থেকে ফিরেই ভোটের আগে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যপালের
শুভেন্দুর কথায়, ‘আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জেলায় জেলায় এরকম ছোটখাটো ‘কেষ্ট মণ্ডল’ তৈরি করে রেখেছেন। এদের দাপট এতটাই যে প্রশাসনের ও ক্ষমতা নেই এদের ছোঁয়ার। এখন প্রশ্ন, আমি কেন এই ব্যক্তির সম্পর্কে এই সকল তথ্য সবার সামনে তুলে ধরছি? তার কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্রে এই ব্যক্তি যে তথ্য দাখিল করেছে, বলা ভালো দাখিল করেনি বা জ্ঞানত চেপে গেছে তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরা প্রয়োজন। আঞ্চলিক দল ‘তোলামূলে’ ঢোকার পর থেকেই জেলার সমস্ত মাছের ভেড়ির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে গোটা জেলা জুড়ে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছে এই ব্যক্তি। সন্দেশখালিতে কান পাতলেই শোনা যায় যে একাধিক ইঁট ভাটা, ফিশ প্রসেসিং প্লান্ট ও অগুনতি মাছের ভেড়ির মালিক হচ্ছে এই ব্যক্তি। সরবেড়িয়া মোড়ে ও বাজার এলাকায় একটি শপিং কমপ্লেক্স সহ কয়েকটি বিল্ডিংয়ের মালিকানা রয়েছে এনার। এছাড়াও ইনি নাকি কয়েক একর জমির মালিক। নিজের মনোনয়ন পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তার বার্ষিক আয় নাকি মাত্র ১৯ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা।”
আরও পড়ুন: তৃণমূলের টার্গেটে মহিলা ভোট? কালীঘাটের বৈঠকে বড় নির্দেশ দিলেন মমতা
সম্প্রতি কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি বড়সড় বাড়ি তৈরি করেছেন বলে শোনা যায়। সেই ব্যক্তির মনোনয়ন পত্রে জমি এবং বাড়ির মূল্য মাত্র ৫ কোটির কাছাকাছি বলে উল্লেখ করেছেন’। শুভেন্দু অধিকারীর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘আঞ্চলিক দল তৃণমূল যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ জুন মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৭৬ হাজার মনোনয়ন দাখিল করেছে, এটা যেমন মেনে নেওয়া যায় না, ঠিক তেমনই শাহজাহান শেখের উল্লেখিত সম্পদ ও আয় সংক্রান্ত বিবরণ সত্য বলে মেনে নেওয়া বড্ড কঠিন। মনোনয়ন দাখিল করার সময় তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক প্রার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। এর তদন্ত হওয়া যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনই শাহজাহানদের মত তৃণমূলীদের দাখিল করা মনোনয়ন পত্রে উল্লেখ করা তথ্যেরও ভাল করে যাচাই করা দরকার’। এদিনের পোস্টে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শাহজাহানের ছবি ও কিছু নথিও জনসমক্ষে আনেন বিরোধী দলনেতা।