ওই ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, ''ডিএম, বিডিও কে বলির পাঁঠা করলে অসুবিধে কোথায় ! এমনিতেই সরকারি আমলারা ওনার সামনে ঝুঁকতে ঝুঁকতে শিরদাঁড়া এত বাঁকিয়ে ফেলেছেন যে, সামান্য তিরস্কার করলেও, সেটা যদি প্রাপ্য নাও হয়ে থাকে তাহলেও টুঁ শব্দটি করবেন না। তাহলে একটু বকা ঝকা করে ধর্নায় বসে যাওয়া যাবে।''
আরও পড়ুন: সিব্বলের জোর সওয়ালেও কাজ হল না, অনুব্রত মামলায় সময় পেয়ে গেল সিবিআই!
শুভেন্দুর সংযোজন, ''কিন্তু এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি অন্য কথা বলছে। নভেম্বর ২৬ তারিখের এই বিজ্ঞপ্তি, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দফতর থেকে এডিএম সাহেবের পাঠানো। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি - i ও সন্দেশখালি - ii এর বিডিও সাহেবদের যে জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র গুলি ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। তা হলে বিষয়টি কী দাঁড়াল! মুখ্যমন্ত্রী যে ২৯ তারিখ মঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র বিলি করবেন, তা জেলা প্রশাসন জানত না? এটা হতে পারে? যেখানে পুরো রাজ্য নবন্নর ১৪ তলার অঙ্গুলিহেলনে চলছে সেখানে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের কার্য্যক্রম জেলাশাসককে জানিয়ে রাখেনি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়?''
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্সে 'রোগী' শুয়ে, আসলে ছিল অন্য কিছু! কলকাতায় যা ধরা পড়ল, আঁতকে উঠবেন
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ''মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকেন। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি না জানা কার্যত অসম্ভব। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দিচ্ছেন এই নাটক-টা হঠাৎ উনি বানিয়ে ফেলেন ও মঞ্চস্থ করলেন। তা সে ধর্না নিজের প্রশাসনের বিরুদ্ধেই হোক না! মাননীয়া যদি সরকারে থেকে বিরোধী নেত্রী সত্তার অভাব অনুভব করছেন, তাহলে ওনাকে বলব যে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে আবার বিরোধী নেত্রী বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবো আমরা"।