শুভেন্দুর দাবি, 'জোকা থেকে এয়ারপোর্টগামী মেট্রো চলাচলের আগে যে রুটের নকশা ছিল তাতে মেট্রোর সুড়ঙ্গ পথে বউবাজার ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোন পথ দিয়ে মেট্রো যাবে তা পরিবহন দফতর এবং কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে রুট পরিবর্তন করেছে। তাই রাজ্য সরকারের ভুলের জন্যই আজ মাশুল গুনতে হচ্ছে বউবাজারের বাসিন্দাদের'। প্রসঙ্গত, বউবাজার মেট্রো বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার নবান্নের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'তাহারি মাঝখানে, আমি পেয়েছি', তাপসের বাড়ির কাছেই গান ধরলেন সুদীপ
নবান্নে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ মেট্রো আধিকারিকরাও। বৈঠকে বউবাজার মেট্রো পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েক দফা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকা পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ মুখ্যসচিব,স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্নের তরফে জানানো হয়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য বিকল্প ববন্দোবস্ত করে দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ক্যাম্প তৈরি করতে হবে কেআরসিএল-এর সঙ্গে যৌথভাবে। যেখানে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, কাউন্সিলর, বিধায়ক, স্থানীয় সাংসদরা থাকবেন। পাশাপশি ১২টি বিল্ডিং-এর ২৮টি পরিবারের ১৮০ জন যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেই ২৮ পরিবারকে আপাতত হোটেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে অথবা বিকল্প আশ্রয়স্থল করতে হবে। এ ছাড়াও যদি আরও ফাটল দেখা যায় এবং আরও পরিবার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য পরবর্তী কাজের জন্য মাটি পরীক্ষা করতে হবে কেএমআরসিএল-কে। আর নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনার জন্য দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।