নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী রবিবার বলেন, "টাকা যায় তাঁর বাড়িতে চায়ের দোকান তুলে যার বাড়ি হয়েছে। 'সে' যাঁকে দিল্লি থেকে ২০১১-র ২১ শে জুলাই এনেছেন মমতা। তাঁর শান্তিনিকেতন নামের বাড়িতে এই কোটি কোটি টাকা আসে।"
আরও পড়ুন : ফের মুখ খুললেন মদন! 'কাকতালীয়' নয়... জন্মাষ্টমী শেষেও 'তাল' নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!
advertisement
এদিন একের পর এক পুরসভা চেয়ারম্যান থেকে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে চলে দিনভর সিবিআই তল্লাশি। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "রাজু সাহানি হোক আর সুবোধ অধিকারী। এসব কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সব ডায়মন্ড হারবার মডেল।"
এই প্রসঙ্গে অতীত টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, "২০০৭-এ নবান্ন অভিযান করে আমরা সিপিএমকে তাড়িয়ে ছিলাম। লক্ষ্মণ শেঠ সাহায্য করেছিল। এবার আমি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপদারা মিলে তৃণমূল তাড়াব। এবারও লক্ষ্মণ শেঠ সাহায্য করবে। তৃণমূলের 'লক্ষ্মণ শেঠ' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।" নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার সমাবেশে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে শনিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় হুগলির কামারকুন্ডু সাইবার ক্রাইম থানায়। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা রটানো হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে নালিশ জানানো হয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এদিন প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার এই এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার করছেন। এর জেরে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। এই মর্মে তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু।