এর মধ্যেই সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের ক্লাস। কিন্তু, পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী না থাকার দরুন চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই প্রসঙ্গে, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম বৈদ্য বলেন, ” আমাদের প্রধান শিক্ষকদের কাছে, এটা সত্যিই একটা চিন্তার বিষয়।কিভাবে আমরা ক্লাস করাব সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। কন্ট্রাকচুয়াল টিচার নিলে সেখানে সংসদের অনুমোদন লাগবে। সংসদ কী সিদ্ধান্ত নেয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত জানায় এই বিষয়টা নিয়ে সেটার দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।’
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে চলছে পরীক্ষা, চাকরি বাতিল হওয়ায় পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়ার শিক্ষক নেই সেহারায়!
বর্তমানে ভোকেশনাল কোর্স বাদ দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে মোট ৪৬ টি বিষয়। তারমধ্যে শুধুমাত্র ৩৪ টি বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এর অনুমোদনে পড়ানো হয় বিভিন্ন স্কুলে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে চাকরি বাতিল একই স্কুলের ৩৬ জন! কীভাবে চলবে পড়াশুনা? মাথায় হাত কর্তৃপক্ষের
বাকি বিষয়গুলি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত থাকায় শিক্ষকের সমস্যা তৈরি না হলেও এই ৩৪ টি বিষয়ে শিক্ষকের সমস্যা তৈরি হতে চলেছে। সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করা হবে? এই বিষয়েই রাজ্যের থেকে জানতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। একাধিক স্কুলে সেই বিষয়ে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ায় দিশেহারা সংসদ। অন্যান্য স্কুল থেকেও শিক্ষক এনে সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে না বলেই মত বহু স্কুল কর্তৃপক্ষের। এমতাবস্থায়, রাজ্যের মতামত চেয়ে চিঠি দিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।