এছাড়াও, আদালত জানতে চায়, ৪২ হাজার শূন্যপদের মধ্যে ২ হাজার পদ ফাঁকা রাখা হয়েছিল কেন? নিয়োগের অধিকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের। পর্ষদ শুধু সুপারিশ করতে পারে। তাহলে ২ হাজার পদ বাদ রাখা হল কেন? কারণ জানতে চান বিচারপতিরা।
তাঁদের আরও প্রশ্ন, আদালতে প্রশ্ন ভুল ইস্যুতে ৬ নম্বর দেওয়া নিয়ে মামলা চলাকালীন পর্ষদের হলফনামায় কেন জানানো হয়নি যে, আগেই ২৭০ জনকে ১ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল? আদালতের এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাইলেন পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
advertisement
এর আগে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আদালত বন্ধু নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে আদালত বন্ধু নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতা হাইকোর্টের তৈরি বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রিপোর্টের কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এই মামলার সব পক্ষকে দিতে হবে তাঁকে। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাজ থেকে রিপোর্ট নেবেন গৌরব আগরওয়াল। তারপর তিনি মুখ্য বিষয় শীর্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরবেন।
এর আগে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে বিষয়টি তোলেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কাজে যোগ দিতে পারেননি চাকরি হারা শিক্ষকেরা। স্কুলের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। মুকুল রোহতাগি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কীভাবে হতে পারে?” দ্রুত বিষয়টি যাতে নিষ্পত্তি করা যায়, সেই আর্জি জানান তিনি৷
রাজীব চক্রবর্তী