এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশযাত্রা করে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার পরেও কেন রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে, এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গত ৮১ দিন কেমন ছিল মণিপুর? এবার এ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে শাসকদল
advertisement
অভিষেকের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য আগামী ২৬ জুলাই বিদেশ যেতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ অগাস্ট অপারেশনের জন্য বিদেশে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। সব শুনে, এদিন এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। এই মামলারপরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
মাস খানেক আগেই নিজের দুই সন্তনকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, কলকাতা বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়৷ বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগ তাঁকে আটকানো বলে জানা যায়। বিমানবন্দরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বাড়ি ফিরে যান তিনি। কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানোর পরেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বিনা বিচারে ১ বছর!’, আদালতে পৌঁছেই বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ক্ষোভ উগরে বললেন..
এই ঘটনার পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ইডি আধিকারিকদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী দিনে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসার পরের দিনই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিজুিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি৷ দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন পঙ্কজ কুমার নামে এক উচ্চ পদস্থ ইডি আধিকারিক।
নির্দিষ্ট দিনে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। যদিও তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ। এদিন সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্স। ইডি দফতরে প্রবেশাধিকার নিয়েও একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।