ভোটের বিপর্যয়ের পর জেলায় জেলায় ঘরোয়া কোন্দল যখন তুঙ্গে, তখন সুকান্তর জেলা সফরের এই পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপিতে। তাহলে কি জেলা সংগঠনের সামনে রাজ্য নেতৃত্বের ঐক্যের ছবি তুলে ধরতেই এই পরিকল্পনা? নাকি জেলা সংগঠনে দিলীপ অনুগামীদের আস্থা অর্জন করতেই দিলীপকে পাশে নিয়ে জেলা সফরের পরিকল্পনা?
যদিও, বিজেপির একাংশ বলছে, এসব নিন্দুকের কথা। কারণ সুকান্ত নিজেই প্রকাশ্যে বলেন, রাজ্য বিজেপির সবচেয়ে সফল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার সঙ্গে সদ্য মনোনীত রাজ্য সভাপতি সুকান্তর কোনও তুলনাই চলে না। দিলীপের হাত থেকে ব্যাটন নেবার পর, সব বিষয়েই তাঁকে দিলীপের সঙ্গে তুলনায় পড়তে হচ্ছে। ফলে, সফল হতে দিলীপকে পাশে নিয়ে জেলা সফরে গেলে আখেরে লাভ সুকান্তরই।
advertisement
আরও পড়ুন-একলাফে অনেকটা বাড়ল করোনা, কোজাগরীতে কলকাতায় অশনিসংকেত
সুকান্ত কাল এই জেলা সফর শুরু করছেন। বীরভূম দিয়ে। রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা পুরভোটের আগে অনুব্রতকে নিশানা করতে বীরভূম দিয়ে শুরু করছেন সুকান্ত। এরপর একে একে বর্ধমান, কাটেয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর৷ সহ দক্ষিনবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় যাবেন সুকান্ত। সূত্রের খবর এই সফরে স্ঙ্গে থাকবেন দিলীপ ঘোষ। হঠাৎ কোন পরিবর্তন না হলে, এই পর্যায়ে ৩০ তারিখ পর্যন্ত জেলা সফর। এর পরে উত্তরবঙ্গ যাবেন তিনি।
উল্লেখ্য,নিজের বিকল্প হিসেবে দিলীপ ঘোষ নিজেই সুকান্তর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই সুকান্তকেই এখন জেলা ঘুরিয়ে দেখাবেন তিনি। তাহলে কি দিলীপ স্বেচ্ছায় কিছুটা জায়গা ছাড়ছেন নবীনকে? বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ দিলীপ ঘোষ বললেন, "এটাই আমাদের দলের পরম্পরা। নতুনদের এগিয়ে দিতেই হয়। আর সে দায়িত্ব প্রবীণেরই। আমি জেলায় জেলায় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সুকান্তকে পরিচয় করিয়ে দেবো।"