২১ এর নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর রাজ্যে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মনেনীত করে দিল্লি। বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে সুকান্ত ও দিলীপকে জোড়া সম্বর্ধনা জানানো হয়। সেই উপলক্ষেই, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শেষবার বিধানসভায় এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেদিন বিধানসভায় নৌসের আলি কক্ষে বিজেপি পরিষদীয় দলের একটি সভায় তাঁরা যোগ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন : দেখে মনে হচ্ছিল জমিতে ঘুমিয়ে আছে... কাছে যেতেই পিলে চমকে গেল! রহস্য খুঁজছে পুলিশ
সেটাই ছিল বিধানসভায় সুকান্ত -শুভেন্দু শেষ সাক্ষাৎ। এরপর, গত দেড় বছরে বিধানসভার বাইরে রাজনৈতিক সভা, মিছিলে সুকান্ত, শুভেন্দুর একসাথে থাকা এবং না থাকা নিয়ে অনেক জল্পনা ডানা মেলেছে। যদিও, প্রকাশ্যে সুকান্ত বা শুভেন্দু কেউই তা মানতে চাননি।
সুকান্তর আজকের বিধানসভায় আসার কর্মসূচি, রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেল তাদের সরকারি গ্রুপে জানিয়েছিল সোমবার রাত ১২টা নাগাদ। সেখানেই আজ দুপুর দেড়টায় বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সুকান্ত'র বৈঠকের কথা জানানো হয়। কিন্তু, বিজেপি বিধায়কদের একাংশ তা নাকি জানতেনই না।
কলকাতা: এক 'Whatsapp'-এ মিলবে শাক-সব্জি মাছ থেকে মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া! জেনে নিন নম্বর...
সূত্রের মতে, ডেঙ্গি ইস্যুতে বিধানসভায় দলীয় কর্মসূচি চুকে যাওয়া ও বিরোধীদল নেতা বিধানসভা ছেড়ে যাওয়ায়, অনেক বিধায়কই আর পরিষদীয় দলের ঘরে ফিরে যান নি। যদিও, এ ব্যাপারে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ''এটা সেই অর্থে কোন গুরুত্বপূর্ন বৈঠক ছিল না। তাছাড়া বিধায়কদের কয়েকজন পুর বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিতে হাউজে ছিলেন। সুকান্ত দা আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এসেছিলেন। নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ।"
শুভেন্দু অধিকারী না থাকায়, বিধানসভায় বিরোধীদল নেতার ঘরে, তারই ফাঁকা চেয়ারের পাশে বসে স্যান্ডউইচ-সহ চা খেতে খেতে মিহির গোস্বামী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ টিগ্গা সহ সাকুল্যে ১৫ / ২০ জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে বিধানসভা ছাড়েন সুকান্ত। যাবার সময় সুকান্তকে বলতে শোনা গেল,'বিধানসভা চালু হয়ে যাওয়ায়, অনেকের সঙ্গে দেখা হল না। আরেকবার আসার চেষ্টা করব।' বিরোধীদল নেতার সঙ্গে দেখা না হওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন," আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি ওঁর। মিহিরদাকে উনি বলে গিয়েছেন, হাইকোর্টে একটা জরুরি কাজ আছে।" এরপর, এই প্রসঙ্গে আর কথা বাড়াতে চাননি সুকান্ত। পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখে না বললেও, বিধানসভায় আজকের এই ঘটনার পর, সুকান্ত-শুভেন্দু পর্বে শৈত্য আরও বাড়ল।
