সুকান্তর প্রশ্ন, 'আমরা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী হবে?' তার মানে মারের বদলা মার? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যদিও সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'তা বলব না। তবে দেশের সংবিধান বলছে, কেউ আক্রান্ত হলে তার আত্মরক্ষার অধিকার আছে। সে ভাবেই আমরা প্রতিরোধ করব'। পাশাপাশি কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে সুকান্ত মজুমদার এও বললেন, 'অনুব্রত নিজামে। খেলার লোকের অভাব নেই। সব থেকে বড় খেলোয়াড় পুলিশ। ওদের সরিয়ে দিন। আমরা খেলা খেলে নেব'।
advertisement
সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, "মমতা-অভিষেককে খোঁচা দিয়ে একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই মোদি শুরু করেছেন, সেই কাজ চলবে। উনি দেশ পরিবর্তন করার কাজ শুরু করেছেন। পারিবারিক রাজনীতি থেকে দেশকে বের করতে চান। রাজ্যেও পরিবারতন্ত্র রাজনীতির অবসান হবে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল একজন সাধারণ সাব ইনসপেক্টর। তার পক্ষে একা এত বড় চক্র চালানো অসম্ভব। তাই অনুব্রতকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। সাজা পেতে হবে। প্রশাসন যুক্ত ছিল। কেউ ছাড় পাবেন না।" মুখ্যমন্ত্রীও আইনের উর্ধে নন বলে মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।
আজ, মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে স্মারকলিপি জমা দেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আজ ১৬ ই আগস্ট 'খেলা দিবস' এর ডাক দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি যে, এই দিন থেকেই ফের শাসক দলের সন্ত্রাস আরও বাড়বে। আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি তাঁকে অবগত করেছি। সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে আজকের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'আমরা মনে করি খেলার 'নায়ক' পুলিশ। বাংলার জনগণ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নেই। তাই পুলিশকে বাদ দিয়ে খেলার ময়দানে তৃণমূল নামুক আমরা বুঝে নেব কী করে খেলায় জয়লাভ করতে হয়'। পুলিশকে সামনে রেখে শাসক দল রাজ্যজুড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস চালাচ্ছে, অভিযোগ বিজেপির। মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের 'খেলা হবে' দিবস এ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর শাসকদলের লাগামছাড়া অত্যাচার , হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে এদিন রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। 'হামলা করলে প্রতিরোধ। সে ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে দায় সরকারের', সাফ জানালেন সুকান্ত।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী