তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতাদের যোগদানের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই জানিয়েছিলেন, ‘‘ আমরা পচা আলু নেব না। তৃণমূলের কোনও নেতাকে আমাদের দলে নেওয়ার কোনও আগ্রহ নেই। আমরা কর্মীদের নিতে বেশি আগ্রহী।’’ তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বারবারই দাবি করে থাকেন সুকান্ত-সহ বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর সেই কারণেই তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের পচা আলুর সঙ্গে তুলনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের জন্য বিজেপির দরজা যে বন্ধ তাও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু বিজেপিরই এক জাতীয় নেতার দাবি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় দলের প্রাক পুজো সম্মেলন উপলক্ষে অংশ নেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের সবাই চোর আমি বিশ্বাস করি না। আমার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জন বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ করেছেন।’’ বাকি আরও অনেকেই বিজেপি-তে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
advertisement
আরও পড়ুন- মোবাইল চোর ধরলেন কুণাল ঘোষ !
আর মিঠুন চক্রবর্তীর এই দাবি ঘিরেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কেন না বঙ্গ বিজেপি নেতারা যখন বলছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ। ঠিক তখনই ভিন্ন সুর মিঠুন চক্রবর্তীর গলায়। যদিও মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্যে যে কোনও অস্বস্তিতে পড়েনি গেরুয়া শিবির তেমনটা জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা এখনও বলছি পচা আলু নেব না। তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাই চোর। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে। আবার তৃণমূলে ঘরওয়াপসি নেতাদের নাম না করে সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, ‘‘চোরেরা আমাদের দলে এসেছিল। চুরি করতে না পেরে আবার নিজেদের পুরনো দলে ফিরে গেছে। কারণ বিজেপিতে দুর্নীতি করার সামান্যতম সুযোগ নেই। যে সুযোগ আছে তৃণমূলে। কারণ তৃণমূল দলের সিস্টেমটাই চোর। সব পচা আলু। তাই পচা আলু নেওয়ার কোনও আগ্রহ নেই আমাদের।’’
ভাল আলু পেলে নেবেন? এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানালেন, ‘‘ভাল আলু পেলে বিবেচনা করে দেখা হবে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সুকান্ত বললেন, ‘‘ যদি ভাল আলু পাওয়া যায় তাহলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সেই আলু দিয়ে চপ তৈরি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করব। কারণ উনি তো চপ শিল্প নিয়ে নানান স্বপ্ন দেখেন।’’