তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনৈতিক কাজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে যে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে তা স্পষ্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন,' এই সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে'। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, 'সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো। তারপর দুর্গাপুজো, লক্ষ্মী পুজো, কালীপুজো ও দীপাবলি। তাই এই উৎসবের দিনে পথে নেমে শাসক দলের বিরুদ্ধে এখনই আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া না হলেও শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার জারি থাকবে। কালী পুজো মিটলেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় আমরা পথে নেমে 'জেল ভরো' অভিযানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব'।
advertisement
রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নের ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারলেও অভিযান ১০০ শতাংশ সফল। দাবি করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। পদ্ম শিবিরের নেতাদের বক্তব্য,'নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মী সমর্থক নেতাদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তাই প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই পুলিশকে দিয়ে বেনজির আক্রমণ করা হয়েছে'। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ফ্লপ-শো বলে কটাক্ষেরও জবাব দিয়ে বঙ্গের পদ্মফুল শিবিরের অন্যতম দুই মুখ শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারদের মতো প্রথম সারির অন্যান্য নেতারাও বলছেন,' আমরা রাজ্যের সেটিং বিরোধী দল নয়, তৃণমূলের দুর্নীতির শিকড় আমরা উপড়ে ফেলবই। আন্দোলন আরও তীব্র হবে'।
আরও পড়ুন: উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? অভিষেককে নিশানা দিলীপের! চরম হুঁশিয়ারি
কালী পুজোর পর ফের শাসকের দুর্নীতির অভিযোগে কী ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করা হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা বলে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর। জানা গেছে, ঠিক যে ভাবে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল ঠিক একই ভাবে রাজনীতির ময়দান সাজাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। 'চোর ধরো জেল ভরো' / 'চোর ধরতে আওয়াজ তোলো, তৃণমূলকে সরিয়ে ফেলো'- এই ধরনের নানান স্লোগানকে সামনে রেখে নাকি অন্য কোনও স্লোগানকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় উৎসবের মরশুমের পর যে জেল ভরো অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি, সেখানে আকর্ষণীয় স্লোগান নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে পদ্মফুল শিবির সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে আবার বৃষ্টির দাপট! উত্তরে সতর্কতা, যা বলল হাওয়া অফিস..
বিজেপির এক নেতা বললেন, 'গতকাল এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসারকে দেখে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে গুলি করার কথা বলেছেন সেই বিষয়টাও স্লোগানের মধ্যে রাখা হতে পারে'। কী সেই স্লোগান? ওই নেতা বললেন, 'গুলি করো, জেল ভরো'। তবে উৎসবের আবহ শেষ হলেই জেলায় জেলায় যে 'জেল ভরো' অভিযানের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি তার শ্লোগান-পোস্টার এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে'।