বিজেপি বনাম বিজেপি। বুধবার সল্টলেকের অফিসে ধুন্ধুমার। বৃহস্পতিবার মুরলীধর সেন লেনেও বিক্ষোভ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার। সল্টলেকের পর মুরলীধরন সেন লেন। ফের বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিজেপি অফিসে। বিজেপির ঘরে লঙ্কাকাণ্ড। বুধবারও বিজেপির অফিসের বাইরে তুলকালাম হয়। গেটের মধ্যে দমাদম লাথি। ইট দিয়ে গেট ভাঙ্গার চেষ্টা। ধাক্কাধাক্কি। মারামারি। ইট দিয়ে তালা ভাঙা। বুধবার এভাবেই বিধাননগরে বিজেপির নতুন অফিসে ধুন্ধুমার। বিজেপি বনাম বিজেপির লড়াই। জেলা সভাপতিকে সরানোর দাবিতে বুধবার সল্টলেকে বিজেপি দফতরে যান বারাসাতের বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে মূল ফটকে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। তারপরেই লঙ্কাকাণ্ড। মারামারিতে আহতও হন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় কড়া রাজ্য বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন– মাত্র ২১ বছরে আইপিএস; কোচিং ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টায় সফল ইউপিএসসি এই তরুণ পরীক্ষার্থী
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে । বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের শো কজের পথে হাঁটছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়োজনে বহিষ্কারও করা হতে পারে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন বঙ্গ পদ্ম সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি বনাম বিজেপি দ্বন্দ্বে তুলকালাম। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য নেতৃত্বের কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার মুরলিধর সেন লেনের বিক্ষুব্ধ এবং আদি বিজেপির আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘কে ব্যবস্থা নেবে, দলের প্রকৃত কর্মী কে? নেতা কে? যারা এখন রাজ্য কমিটিতে বসে আছে তারা সব অপদার্থ। তারা যদি অ্যাকশন নেয়, আমরা বিজেপির সংবিধান মোতাবেক লড়াই করব।’’
আরও পড়ুন– বছরে মাত্র ১৫ দিন মেলে এই মিষ্টি, চাহিদাও থাকে তুঙ্গে; বিক্রি হয় ১০০ টনেরও বেশি
বুধবার সল্টলেক। বৃহস্পতিবার ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চের বিক্ষোভের ঢেউ সটান আছড়ে পড়ে মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে। বিজেপি বাঁচাও কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে। বিক্ষুব্ধদের দাবি, ‘‘বিজেপি রাজ্য কমিটির খোলনলচে বদলাতে হবে। সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য নেতৃত্বকে সরাতে হবে। দলের একাংশের মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বেশি লোক এলে বেশি সমস্যা হয়। হয়তো সবার কথা ঠিক মতো শোনা হচ্ছে না, তাই বিক্ষোভ হচ্ছে।’’
গত কয়েকদিনে বারবার বিজেপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ। কখনও হরিনঘাটার বিজেপির বিধায়ক অসীম সরকারের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। এবার পরপর দু’দিন কলকাতার দুই অফিসের সামনে তুলকালাম। এ সবই বিজেপির কাছে বিড়ম্বনার বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। আর লোকসভা ভোটের আগে সেই বিড়ম্বনা যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে বঙ্গ পদ্ম শিবিরকে বলে মানছেন দলের নেতাদের একটা বড় অংশও।