বুধবার চেন্নাই যাওয়ার আগে বিমাবন্দরের বাইরে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বিমাববন্দরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এ সব নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। এ সব আমরা হতে দেব না ৷’’ অর্থাৎ, তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলে দিলেন, সিএএ হোক সেটা তিনি চাইছেন না ৷ আগেই গুজরাতে নাগরিকত্ব বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, গুজরাতের দু’টি জেলা আনন্দ এবং মেহসনিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিমরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ৷ তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘বাংলায় এসব হবে না। বাংলায় সবাই নাগরিক। গুজরাত ভোটের দিকে তিকিয়েই এসব হচ্ছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- সিএএ হাওয়ার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের রিসর্টে সংখ্যালঘু মোর্চার শিবির! চমক বিজেপি-র
তবে মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘‘বাংলায় সিএএ লাগু হবেই। মুখ্যমন্ত্রীর কত ক্ষমতা আছে আমরা দেখব সিএএ আটকে দেওয়ার।’’ গুজরাতের পর এবার কী টার্গেট বাংলা? ভোটের গুজরাতে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মেনে পদক্ষেপ। এর সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গ বিজেপি এই সুযোগ ছাড়ছে না। তারা ফের সিএএ হয়ে গলা ফাটাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- ‘এ সব আমরা হতে দেব না’, গুজরাতে হওয়া নাগরিকত্বের ঘোষণা নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
উৎসবের মরশুম শেষ হতেই ফের বঙ্গে চর্চায় সিএএ। উনিশের লোকসভা ভোটে মতুয়াদের মন জিততে, সিএএ-কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, তারপর তিন বছর কেটে গিয়েছে। সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করালেও তা কার্যকর করতে আজও বিধি তৈরি করে উঠতে পারেনি অমিত শাহের মন্ত্রক। তবে গুজরাতের পর বাংলার পদ্ম শিবির সিএএ নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে। গুজরাতে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। যাকে ঢাল করে ফের সিএএ নিয়ে সরব বাংলার পদ্ম নেতারা।