রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজভবন গেটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনটাই বলেন সুকান্ত৷ আর তাঁর এই বক্তব্যকে নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যারা আসল উপভোক্তা তারা ঘর পাননি, অথচ তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠরা ঘর পেয়েছেন কিংবা মোটা টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘর পাইয়ে দিয়েছে শাসক দলের নেতারা। এই অভিযোগে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে পদ্ম শিবির। জেলায় জেলায় চলছে আবাস বিক্ষোভ। কোথাও বা শাসক দলের নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভও। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুর সপ্তমে গেরুয়া শিবিরের।
advertisement
আরও পড়ুন : ২৯ বছর বয়সেও বাড়ছে উচ্চতা, প্লাস্টিক সার্জারি করাতে কেন চান ৭ ফুট ৪ ইঞ্চির যুবক
আর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে পরপর পাথর ছোড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একদিকে যেমন তদন্ত দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বন্দে ভারত ট্রেনে নয়, উপযুক্ত জায়গায় ঢিল মারার নিদানও দিলেন সুকান্ত। কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল যারা অন্যায়ভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন সেই সব বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা আবাস যোজনায় বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ সহ নথি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যারা আবাস যোজনায় তৃণমূল নেতাদের হাত ধরে বেআইনিভাবে ঘর পেয়েছেন সেইসব তালিকা বাতিল করার পাশাপাশি কেন্দ্রের টাকা ফেরত নেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। আর এবার সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, হিংসাকে উস্কানি দিচ্ছেন সুকান্তবাবু।