ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন কত দফায় হবে? এখনও এ ব্যাপারেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি নির্বাচন কমিশন। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের থেকেও পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের কাজে আধা সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বেশি মোতায়েন হবে বলে খবর। আর এরই মধ্যে রাজ্যে সাত দফায় ভোট না হলে প্রহসন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাই কমপক্ষে সাত দফায় বাংলায় ভোট হোক, এমনটাই চাইছেন সুকান্ত মজুমদার। তার বেশি দফাতে হলেও আপত্তি নেই। কিন্তু কমপক্ষে এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন সাত দফাতেই করার দাবিতে সরব এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
advertisement
প্রতি বুথে যদি কমপক্ষে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হয় তাহলে ভোটই হবে না। ভোটের নামে প্রহসন হবে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে শুধুমাত্র সুর চড়ানোই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও একাধিকবার নালিশ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিম্বা অন্য পদ্ম শিবিরের নেতারা। আইন শৃঙ্খলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। এছাড়া ভোটের দিন কিম্বা ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেও দেখা গেছে বিরোধী শিবিরকে।
ভোট লুট থেকে রিগিং, খুন, ছাপ্পা ভোট সহ নানান অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী শিবির। আর এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে সাত দফায় লোকসভা ভোটের দাবি জানালেন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে শাসক শিবির বলছে,’ একশো দফা কিম্বা যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী আগামী লোকসভা নির্বাচনে আসার কথা তার থেকে দ্বিগুণ বা তারও বেশি বাহিনীর নজরদারিতে ভোট হলেও বাংলা ফের প্রমাণ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই আস্থা রয়েছে বাংলার মানুষের।’