আজ বিকেলে কলকাতার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী পারমিতা দত্তের সমর্থনে আধ ঘণ্টার ঝটিকা প্রচার সারেন সুকান্ত মজুমদার৷ প্রচার শেষে বিদায়ী মেয়র ববি হাকিমের পাড়ায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি দোকান থেকে চা খান তিনি৷
শীতের পড়ন্ত বিকেল। চেতলা হাট রোডের পরিচিত মিষ্টির বিপণীর সামনের মোড়ে গুটিকয়েক দলীয় মহিলা কর্মীকে নিয়ে রাজ্য সভাপতির আগমনের প্রতীক্ষায় তখন প্রার্থী পারমিতা। ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল টা ছুঁইছুঁই। সুকান্ত পৌঁছলেন চেতলায়। সংক্ষিপ্ত দু' একটা কথাবার্তা বলেই, পায়ে হেঁটে প্রচার শুরু করে দিলেন সুকান্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: রবীনকে প্রণাম, সুজনের সঙ্গে করমর্দন কুণালের! রবিবাসরীয় বিকেল দেখল 'ব্যতিক্রমী দৃশ্য'...
দু' এক পা রাস্তা দিয়ে হেঁটেই সুকান্ত বোধহয় বুঝলেন, অপ্রশস্ত রাস্তায় হেঁটে এলাকার যানজট না বাড়িয়ে ফুটপাথে সারি দেওয়া দোকান আর মানুষের কাছে পৌঁছনো দরকার। নিম্নবিত্ত চেতলা হাটের ফুটের দোকানগুলিতে তখন এক একে জ্বলে উঠছে আলো। সেই আলোয় দোকানগুলিতে তখন শুরু হয়ে গিয়েছে দৈনন্দিন বিকিকিনি।
চেতলা হাট রোডের একদিকের ফুটপাথ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। উল্টো দিকটা ৮২ নম্বর। যে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থীর নাম ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরভোটে যে ববিকে নিশানা করেছে বিজেপি। প্রার্থী আর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তখন রাস্তায় হাঁটছেন সুকান্ত। চেতলা হাট রোডের দু' পাশের বাড়িঘর, দোকানপাট থেকে শুরু করে ফুটপাথের ভ্যাট, সর্বত্র তৃণমূলের পতকা আর পোস্টারে ভরা।
আরও পড়ুন: চমকেই বাজিমাতের লক্ষ্য, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের শেষ মুহূর্তের তারকা-টাচ!
ফুটপাথের দোকানি আর মানুষের কাছে পৌঁছতে, কখনও সেই পতকা, ব্যানারের ফাঁক গলে সুকান্ত উঁকি মারলেন দোকানে। হাতজোড় করে দোকানির হাতে তুলে দিলেন দলীয় প্রচার পুস্তিকা। আবার, কখনও দোকান ছেড়ে ফুটপাথের শুঁড়ি পথ ধরে পৌঁছে গেলেন নিম্নবিত্ত মানুষের দোচালা ঘরে। এলাকার পানীয় জলের সমস্যা আর নানা অভিযোগ শুনতে শুনতেই দলীয় প্রার্থীর জন্য সমর্থন চাইলেন সুকান্ত।
এ ভাবেই, চেতলা হাট রোডের এ মাথা থেকে অন্যমাথা পরিক্রমা সেরে বসে পড়লেন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চায়ের দোকানের বেঞ্চে। মাটির ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতেই পরিচয় সারলেন এলাকার পুরনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে। অভিযোগ শুনলেন, এলাকায় দলীয় প্রচারে তৃণমূলের বাধা দেওয়া নিয়ে।
রাজ্য সভাপতি চলে যাওয়ার পর প্রার্থী পারমিতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত চায়ের দোকান থাকতে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চায়ের দোকান ঠিক করলেন কেন? প্রশ্ন শুনে পারমিতা একটু হেসে বললেন, 'হ্যাঁ, এটা ঠিক ওটা আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে না৷ রাস্তার ওই ফুটপাথটা ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। তবে, বিধানসভা ভোটের সময় ওই দোকানটার উল্টো দিকেই ছিল আমার নির্বাচনী কার্যালয়। তখন এই দোকান থেকেই চা খেতাম। এর মধ্যে রাজনীতিj কিছু নেই।'