মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তী জানান অভিষেককে তলবের বিষয়টি মমতা অভিষেকের অজানা ছিল না। অভিষেক নিজেও জানতেন বলেই সোমবারের সমাবেশে গিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বলে দাবি সুজন চক্রবর্তীর। ‘‘২৮ তারিখের নোটিস এসেছে, ২৯ তারিখ মঞ্চে ওঠার সেটা অভিষেক জানতেন না?’’ প্রশ্ন তুলেছেন সুজন।
মুখ্যমন্ত্রী পর পর ক্রোনোলজি সাজিয়ে দিয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। "পার্থ কেষ্ট ববির নাম পর পর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইডি খালি ব্যাটিং অর্ডার নিজের মত করে একটু সাজিয়ে নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাটিং অর্ডার জানেন তাও ক্যামোফ্লেজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। সবাই জানে, দিল্লির সঙ্গে কী রকম সেটিং করেছেন তিনি’’ বলেন সুজন। তাঁর আরও বক্তব্য, মমতা খালি অভিষেককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ৷
advertisement
আরও পড়ুন : কলকাতায় প্রবেশ করল এসএফআই-এর সর্বভারতীয় জাঠা, ২ সেপ্টেম্বর কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সমাবেশ
সেটিং তত্ত্ব নিয়ে বারবার জল ঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ফের সেই একই অভিযোগ তুলে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর গোপন বৈঠকের পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। আগেও অভিষেকের নাম আসার পরে এ সব হয়েছে, এ বার আবারও নাম আসায় এর পর কে কে বলিপ্রদত্ত সে সব কিছু মুখ্যমন্ত্রী জানেন’’ বলে কটাক্ষ সুজনের।
আরও পড়ুন : রাজ্যের ১১ টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ
এমনকি ২৮ তারিখের চিঠি ২৯ তারিখ বিকেল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না- এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে ধারণা তাঁর । সেটা কার্যত চেপে রেখেই ২৯ তারিখের ছাত্র সমাবেশে তারা বক্তব্য রেখেছিলেন বলে দাবি সুজনের।