কুণালের প্রশ্ন, ''সুজনদা, তালিকা কি ঠিক? যদি ঠিক হয়, এত জনের চাকরি দৃশ্যত কি স্বাভাবিক? যদি তালিকা ভুল হয়, রটনা হয়, তাহলে নিন্দা করা হবে। যদি ঠিক হয়, তদন্ত হোক।''
নিয়োগ দুর্নীতিতে সাঁড়াশি চাপে রাজ্যের শাসক শিবির। একের পর এক গ্রেফতারিতে বাড়ছে অস্বস্তি। একদিকে ইডি-সিবিআই-এর কেন্দ্রীয় সংস্থা, অন্যদিকে বিরোধীদের আক্রমণ, দুইয়ে মিলে বেজায় চাপে তৃণমূল। সেই সূত্রেই পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছে শাসক দল। বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়ম কেবল তৃণমূল জমানায় নয়, অতীতে বাম জমানাতেও হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে কে এই নীলাদ্রি দাস? পুরনো পরিচয় জানলে আঁতকে উঠবেন!
রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক প্রথম প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে। তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একটি চিরকুট পোস্ট করা হয়েছে। দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা ওই চিরকুটের নীচে সই রয়েছে মিলি চক্রবর্তীর। মিলিদেবী সুজনবাবুর স্ত্রী। ট্যুইটারে তৃণমূল দাবি করে, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কোনওদিন কোনও পরীক্ষা দেননি। কিন্তু তিনি দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজে ৩৪ বছর ধরে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে পর্যন্ত বেতন নিয়ে অবসর নিয়েছেন এবং এখনও পেনশন নিয়ে যাচ্ছেন। সিপিএম ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন সুজনবাবু ও তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সবজি আসছে কলকাতায়, ট্রেনেই মেশানো হচ্ছে 'স্লো-পয়জন'! ঘটনা জানলে খাবার ইচ্ছে চলে যাবে
এবার আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যে তালিকাতে সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য, বড় ভায়রা অমিতাভ সেন, বড় শালি ছবু ভট্টাচার্য, বড় শালির ছেলে, মেজ ভায়রা, মেজ শালি, সেজ শালি, ছোট ভায়রা সহ ১৩ জনের নাম রয়েছে, যারা সরকারি চাকরি বা পদে ছিলেন। এবার সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও সেই তালিকার সত্যাসত্য বিচার করেনি নিউজ ১৮ বাংলা।