নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীর দিনেই কেন এই উদ্বোধন সেই কারণ ও ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রেড রোডের মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন "সুফল বাংলা আজকের দিনে উদ্বোধন করার একটাই কারণ, নেতাজি ভাবতেন আমার চাষীরা নিজের বাড়িতেই করুক। তারা আত্মনির্ভর হোক।" তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের দিন এই কর্মসূচি রাখা বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন "আপনারা শুনে খুশি হবেন স্কুলের সব ড্রেস তাঁতিরা তৈরি করেন, সেটা নির্ভর করেই আত্মনির্ভরতা, তাই আজকের দিনে এটা করা হয়েছে"। ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সুফল বাংলা কর্মসূচি শুরু করে রাজ্য। প্রথমদিকে ১৪ টি ভ্রাম্যমান সুফল বাংলা গাড়ির পরিষেবা নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। এই সুফল বাংলার মাধ্যমে কৃষকদের থেকে সরাসরি শাকসবজি ফল এবং অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য কিনে বাজারদামে দেওয়া হয়। নবান্ন সূত্রে খবর প্রতিদিন তিন লক্ষ উপভোক্তা সরাসরি ভাবে উপকৃত হচ্ছেন এই সুফল বাংলার মাধ্যমে। পাশাপাশি ৪ লক্ষ কৃষক এই সুফল বাংলা পরিষেবার মাধ্যমে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন বলেও দাবি নবান্নের। তবে শুধু সুফল বাংলা পরিষেবা নয়, এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুটি এগ্রিগেশন হাব-এরও উদ্বোধন করেন। একটি পশ্চিম বর্ধমানের কাকশাই এবং অন্যটি শিলিগুড়ির শালবাড়ি কৃষক বাজারে।
এরই সঙ্গে চারটি মিনি হাবেরও উদ্বোধন করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার ওন্দা, জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং পুরুলিয়ার বলরামপুরে। এদিন যে ১৫০ টি সুফল বাংলা আউটলেট নতুন করে উদ্বোধন করা হল তার মধ্যে ১০০ টি কলকাতা পুরসভা এলাকাতেই তৈরি হয়েছে। বাকি ৫০ টির মধ্যে ২৫ টি শিলিগুড়ি-মিউনিসিপাল অঞ্চলে এবং বাকি ২৫ টি আসানসোল- দুর্গাপুর মিউনিসিপালিটি অঞ্চলে গড়ে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি এই সুফল বাংলা পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে আসার জন্য ভ্রাম্যমান পরিষেবার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই এদিন আরও ৫০টি সুফল বাংলার ভ্রাম্যমান পরিষেবার উদ্বোধন করা হল। এর ফলে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে এই সুফল বাংলা পরিষেবা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের নাগালে আসবে বলেই মত প্রশাসনিক মহলের একাংশের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়