ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সংগঠন পোক্ত করছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে গতকাল, বুধবার হঠাৎই আগরতলায় হাজির হন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ। দিনভর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় সংগাঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বিপ্লব দেব বিরোধী ৬ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই বৈঠকে ছিলেন সুদীপ রায়বর্মণও।
ভিনরাজ্যে দলকে ছড়িয়ে দিতে ত্রিপুরাকেই প্রথম টার্গেট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়রা। বিপ্লব দেব শাসিত এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগেই প্রবেশ করেছিল। সেই কাজটির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মুকুল রায়ই। তাঁর হাতযশেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের ৬ জন বিধায়কও ছিল। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরেই ওই ৬ বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। তারপর থেকেই ত্রিপুরা কার্যত তৃণমূলশূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার ফের 'খেলা' শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়। সৌজন্যে সেই মুকুল।
advertisement
ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপের সংঘাত সর্বজনবিদীত। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, অন্তত ১৪ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ। আর সেই আশঙ্কাই বিজেপির অন্দরে ঝড় তুলে দিয়েছে। বড় সংখ্যক বিধায়ক নিয়ে দল ছাড়ার পর সুদীপের গন্তব্য যে তৃণমূলই হবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ দলবদলের আগে ওই বিজেপি বিধায়কদের কলকাতায় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে। আর বাংলার পর ত্রিপুরাতে বিপর্যয় আটকাতেই তাই এবার কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে একটি নতুন গান। গানের নামই হল, 'ত্রিপুরা কইতাসে, মমতাদি আইতাসে।' গানটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। এই গানে মূলত তৃণমূলের এ রাজ্যে বিভিন্ন জনদরদি প্রকল্পের বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে।