সাল ১৯৯৩। তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়৷ তারপরের রক্তাক্ত ইতিহাস সবার জানা৷ গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জনের৷ এরপরে ইতিহাসের পালাবদল৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল৷ শক্ত ঘাঁটি, পাকা ভিত আর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও, তিন- তিন বার বাংলার মসনদে বসেও সংগ্রামের দিন তিনি ভোলেননি৷ তাঁদের উদ্দেশ্যে সুদীপ বলেন, "সেদিন যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা আজ স্বর্গ থেকে দেখছেন। সিপিএমকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলা থেকে শূন্য করে দিয়েছে। আজ রাষ্ট্রপতি ভোট গণনা করার কারণ ২১ জুলাই থেকে নজর ঘোরাতে। সভা থেকে নজর ঘোরাতেই সোনিয়াকে তলব করা হয়েছে৷ দলনেত্রীর এবারের লক্ষ্য বিজেপিকে শূন্য করা। ওটা একটা উন্মাদের দল। আট বছরের দেশ চালনায় ৮০ টা ভুল করেছে ওরা। নোটবন্দি ভুল, অপরিকল্পিত লকডাউন, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি, চীন-ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামো ভাঙচুর, ধর্মের নামে রাজনীতি-সবই করছে৷ তাই বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'একটু পা চালিয়ে ভাই'! শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধর্মতলামুখী মা-মাটি-মানুষের স্রোত
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ থেকে সাইকেল চালিয়ে ২১-এর সমাবেশে, সম্মান অভিভূত অভিষেকের
২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। বৃহস্পতিবার সেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ আর থাকল না। শহরজুড়ে মা-মাটি-মানুষের পতাকা-ফেস্টুন হাতে, স্লোগান মুখে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা। সকলেরই মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার প্রবল উৎসাহ। নেত্রী কী বার্তা দেবেন, তা শুনতে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। (Abhishek Banerjee on Shahid Diwas) সকাল থেকেই ধর্মতলায় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড়।