তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে দলের উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব যে মেটেনি, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সুদীপের নাম না করেই সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। পুজোর পরেই অক্টোবর মাসে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন দলের বিধায়ক এবং অন্যতম সিনিয়র নেতা তাপস রায়।
advertisement
বরানগরের বিধায়ক গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। এমনকী, সুদীপ এবং শুভেন্দু একই সময় তৃণমূল সাংসদ ঘনিষ্ঠ মধ্য কলকাতার এক বিজেপি নেতার বাড়ির পুজোতেও গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তাপস। পাল্টা জবাব দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছিলেন, 'হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোঁকে হাজার।' দুই নেতার মধ্যে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি তৃণমূলের চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাংবাদিকরা তাপস রায়ের কাছে জানতে চান, তাঁর সঙ্গে সুদীপ ববন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ঠিক হয়েছে কি না? জবাবে তাপস স্পষ্ট বলেছিলেন, সম্পর্কে কোনও উন্নতি হয়নি। দলের সাংসদের সঙ্গে সম্পর্কের মেরামতিতে তিনি আগ্রহী নন বলেও জানিয়ে দেন তাপস।
সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের নাম না করেই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। দলের সবার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, প্রতিষ্ঠিত নেতা- তৃণমূলের এমন কোনও নেতা নেই যাঁর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক নেই। তাঁরাও আমাকে পছন্দ করেন। ব্যতিক্রম একজন।' কেন একজনই ব্যতিক্রম? জবাবে তাপস রায় ফের বলেছিলেন, 'ব্যতিক্রমের কারণ নিশ্চয়ই ছিল বা আছে।'
আরও পড়ুন, প্রবল ঠান্ডা ও অন্ধকারে জমে পূর্ব আমেরিকার ক্রিসমাসের সকাল, তুষারঝড়ে মৃত ৩১
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাপস রায়কে সরিয়ে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কে উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর থেকেই দুই নেতার মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। যদিও কেক খাওয়ানোর ছবি সামনে আসার পরে দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব মিটল কিনা, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।