আর এখান থেকেই দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ বলেন, “সিপিএম বলেছিল আমরা ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছি। সিপিআই, আরএসপির মতো সব তখনকার বড় পার্টি গুলো বলেছিল এসইউসিআই কোনও দল না। এটা একটা ক্লাব। এখন আরসিপিআই নেই, বলসেভিক পার্টি নেই। সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক একসময় শক্তিশালী ছিল। এখন তাদের লোক নেই। সিপিএম বাংলায় ৩৪ বছর সরকার চালিয়েছে। বাংলায় তারা এখন কংগ্রেসের হাত ধরেছে। একটা পীরকে সেকুলার বানিয়ে তার হাত ধরেছে। ইন্ডিয়া জোটে গেছে তৃণমূল। আমরা একক শক্তিতে লড়ছি।”
advertisement
এদিন রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রিগেডের ময়দানে আসে এসইউসিআই-এর নেতা কর্মী সমর্থকেরা। আাগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপিও দেশ জুড়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। প্রভাস ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের চাকায় আমরা প্রতিদিন পিষ্ট হচ্ছি। এই হল পুঁজিবাদের চেহারা। বিজেপি বলে তারা জাতীয়তাবাদের প্রতীক। তারা দেশের শত্রু। বিজেপি বিজ্ঞানের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। বিজেপি ধর্মকে ব্যবহার করছে ভোটের জন্য। রাম মন্দিরকে ব্যবহার করছে ভোটের জন্য। আসলে এটা তাদের ভোটভক্তি। ইন্ডিয়া জোট? এই জোট কাদের প্রতিনিধি এরা? অত্যাচারিত শোষিতের ইন্ডিয়া?”
আরও পড়ুন, হাতে আসবে টাকা, ঘরে ফিরবে শান্তি! বিরল যোগে শনির ‘সুনজরে’ তিন রাশি
আরও পড়ুন, এক রাতেই বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবি, মূল্য চুকিয়ে গেল ছোট্ট সৌরনীল
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এই অবস্থার মধ্যে আমাদের দল দাড়িয়ে আছে বিপ্লবের ঝান্ডা ধরে। বিজেপি হারলে ভাল। ঔদ্ধত্য হারবে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট জিতলেও যে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক পরিবেশ যে আসবে, তাও না। কিন্তু বিজেপির একটা ধাক্কা খাওয়া উচিত। একমাত্র বিকল্প প্রলেটারিয়ান রাজনীতি। বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ জোট চাই। ভোটের জন্য না। মানুষের জন্য।”