সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee Death) পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তাঁর একমাত্র স্পষ্ট ছবিটি শেয়ার করে রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা লিখলেন তিনি বাকি সব ছবিতেই লুকিয়ে পড়েছিলেন এক কোণে। প্রিয় ‘সুব্রতদা’কে হারিয়ে সেই পাশে থাকার মুহূর্তটাতেই যেন ফিরে গেলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। ফেসবুকে আবেগে স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন সঞ্চালিকা। ঝাপসা চোখে বললেন, "তবুও কাঁদবো না।"
advertisement
ছবিতে সুদীপার রেস্তরাঁর এক অনুষ্ঠানে হাজির সুব্রত। পাশে সুদীপা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ট্রেডমার্ক ধবধবে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি এবং ঝকঝকে হাসি। ব্যুফে কাউন্টারের উদ্বোধনে প্রসেনজিৎ ও সৌরভের সঙ্গে সুব্রত খুনসুটির কথা উঠে এসেছে অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার লেখায়।
স্মৃতিতে ভেসে উঠেছে পিতৃবিয়োগের দিনটিও। ভিড় করে আসছে কত হাসি, গল্প, আড্ডার কথা। সুব্রত নয়, বরং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেই বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন বলে নেটমাধ্যমে জানিয়েছেন সুদীপা (Sudipa Chatterjee)। যত আবদার তাঁর কাছেই। আসলে সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee Death) ও তাঁর নিজের বাবার নাম একই। বাবা চলে যাওয়ার পরে তাই পিতৃসম আশ্রয় দিয়েছিলেন এই মানুষটিই।
দাদা বলে ডাকলেও তাই যেন বাবার আসনেই বসিয়ে ফেলেছিলেন সুব্রতকে। স্নেহও পেয়েছিলেন ঠিক সে ভাবেই। স্মৃতিচারণে সে কথা লিখেছেন সুদীপা। বলেছেন, তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁর স্বামী অগ্নিদেবের। এতটাই সে ঘনিষ্ঠতা, যে কেবলমাত্র তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন সুব্রত। অভিনয় করেছিলেন অগ্নিদেবের ‘চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালস’ ধারাবাহিকে। ছোট পর্দায় সেই প্রথম সুব্রতর পা রাখা। বিপরীতে মুনমুন সেন। সুদীপার লেখা বলছে, রাজনীতির সুব্রতকে নাকি এই ধারাবাহিকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজীব গান্ধি।
শেষে লিখেছেন, এখনও যে বিশ্বাস করতে মন চাইছে না, ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বরং ভাবছেন, কোনও ভুলভ্রান্তি হলেই এসে দাঁড়াবেন সুব্রত। পাঞ্জাবীর হাতা গুটিয়ে বলবেন, “ভয় কী!” ঠিক আগের মতোই!
