আরও পড়ুন: 'সুব্রত দা'র দেহ দেখতে পারব না', পুজো ফেলে হাসপাতালে ছুটে এলেন মমতা
কর্পোরেশনের সামনে ফুটপাথে থাকেন জরিনা। তিনি ১৯৬০ সাল থেকে এখানেই থাকেন। তিনি বললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু সংবাদ তাঁকেও যথেষ্ট কষ্ট দিয়েছে। একবার সামনের পার্ক পরিষ্কার করে গাছ লাগানোর সময়, পৌর কর্মীরা সবকিছু পরিষ্কার করতে গিয়ে, তাঁর বাসস্থান ওখান থেকে তুলে ফেলে দিচ্ছিল। সেই সময় সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে ওখান থেকে তুলতে দেননি। সুব্রত বাবু তাঁকে ওখানেই থাকতে বলেছিলেন।
advertisement
কর্পোরেশনের অলিন্দে এখনও সুব্রত বাবুর অনেক কৃতিত্ব পড়ে রয়েছে। সুব্রত বাবু আর নেই। সবই স্মৃতি এখন।
আরও পড়ুন: 'এত বড় দুর্যোগ আসেনি জীবনে', সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছাত্র আন্দোলন থেকে কলকাতার মেয়র, প্রশাসক, দলের নেতা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, পুজো প্রিয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্য লেখা শোকবার্তায় বিভিন্ন দিক থেকে একজন দক্ষ মানুষ ও শিক্ষক হওয়ার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলার রাজনীতিতে একজন বর্ণময় চরিত্র এবং তাঁর হাতেই কলকাতা পুরসভার স্বর্ণযুগের শুরু।
দীপাবলির রাতে বাংলার রাজনৈতিক মহলে অন্ধকার নামিয়ে প্রয়াত হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন-সহ চারটি দফতরের মন্ত্রী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee Death)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। আর দীর্ঘদিনের সহকর্মী সুব্রত 'দা'-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ''এমন আলোর দিনে অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি। অনেক দুর্যোগ এসেছে, কিন্তু এটা ভীষণ বড় দুর্যোগ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ, এত প্রাণবন্ত তিনি, পার্টি অন্ত প্রাণ আর হবে কিনা জানি না।''