#কলকাতা: চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কালীপুজোর রাতে মৃত্যু হল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee Died)। আর সেই খবর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে পৌঁছনো মাত্রই হাসপাতালে হাজির হন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে কাটানোর পর মুখ্যমন্ত্রীই (Mamata Banerjee on Subrata Mukherjee) ঘোষণা বলেন, 'আলোর দিনে এতবড় অন্ধকার, ভাবতেও পারিনি। অনেক দুর্যোগ এসেছে, কিন্তু এটা ভীষণ বড় দুর্যোগ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ, এত প্রাণবন্ত তিনি, পার্টি অন্ত প্রাণ আর হবে কিনা জানি না। সেদিনও দেখা হল, হাসল। বলল আবার জেলায় জেলায় যাব। কিন্তু কী যে হল। বিরাট হার্ট অ্যাটাক হল। ডাক্তাররা চেষ্টা করেছিলেন অনেক। দার্জিলিংয়েও এমন হয়েছিল একবার, অনেক কষ্ট করে আমরা ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু এবার আর হল না।'' একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''একইসঙ্গে হার্টের সমস্যা না সবসময় দেখিয়ে নিতে হয়। ফেলে রাখা ঠিক না।''
১৯৭১ সালে বালিগঞ্জ থেকে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয় পান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ১৯৭২ সালে ফের বালিগঞ্জ থেকে জিতে মন্ত্রী। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ে নিজেও পরাজিত। ১৯৮২ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান। সেখান থেকে পরপর তিনবার জিতে ১৯৯৬ সালে চৌরঙ্গি। জয়লাভ। ২০০১ সালে তৃণমূলের বিধায়ক। ২০০৬ সালে চৌরঙ্গি থেকে কংগ্রেসের হয়ে হার। ২০১১ সালে তৃণমূলে ফিরে বালিগঞ্জে জয়। মন্ত্রীও।
বাংলার রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বলা যেতে পারে, শেষ হল এক অধ্যায়। ষাটের দশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। শুরু করেছিলেন ছাত্ররাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তার। ১৯৭২-১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এর মন্ত্রী ছিলেন। ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সঙ্গে। কলকাতার ৩৬ তম মেয়র তিনি। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল মেয়র পদে বহাল ছিলেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mamata Banerjee, Subrata Mukherjee