সূত্রের খবর. এদিন মধ্যকলকাতার একটি বাড়িতে বৈঠকের আয়োজন আগেভাগেই করে রেখেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বৈশালী ডালমিয়া এবং প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী। ছিল চা, চানাচুর, আলুর বড়া, বেগুনি। মুখ চালাতে চালাতেই ঘরোয়া মেজাজে কথাবার্তা চলতে থাকে।
সূত্রের খবর, এ দিন কথা প্রসঙ্গে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো প্রসঙ্গ। আজ ইস্তফার দিনে রাজীব বিধানসভা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর ছবি হাতে। চোখের জলে রাজীব বার্তা দিতে চাইছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে চেষ্টার কসুর করেননি তিনি। অথচ উল্টোদিক থেকে এসেছে শীতলতা। শুভেন্দু চাইছেন এই সুরটা বজায় থাকুক। ঠিক তিনি যে ভাবে বার্তা দিয়েছেন, দলে চেয়েও কাজ করার পরিস্থিতি নেই তাই তিনি বিদ্রোহী এবং অন্য পথের পথিক, সেই ভাবেই রাজীবরাও আগামীদিনে বার্তা দিন। সেক্ষেত্রে রাজীবের আজকের পদক্ষেপকে প্রশংসনীয়ই মনে করেছেন শুভেন্দু, বুঝিয়েও দিয়েছেন সেটা।
advertisement
রাজীবের পদত্যাগ, এই বৈঠক, আজকের দিনটাই ছিল সিনেমার নিখুঁত চিত্রনাট্যের মতো। সবটাই যেন পূর্বপরিকল্পিত। কাজেই কাকতালীয় নয় যে আজই অমিত শাহ এই শহরে পা রাখছেন। শুভেন্দু এদিন রাজীব বৈশালীদের বলেন ঠিক তার যোগদানের দিনের মতোই ডোমজুরের যোগদান মেলাকে দৃশ্যতই বার্তাবহ করে তুলতে হবে। শাহকে বোঝাতে হবে, মানুষ এই নেতাদের সঙ্গে আছেন। সেই কারণেই স্থানীয় মানুষকে ওই কর্মসূচিতে আনার জন্য বলেছেন শুভেন্দু।
বৈঠকে কথা উঠে আসে আগামী দিনে কী ভাবে কাজ হবে তাই নিয়েও। শুভেন্দু ভাবী সদস্যসের অভয় দিয়েই বলেন সমন্বয়সেতু হিসেবে তিনিই কাজ করবেন। পাশাপাশি কথা হয় হুগলি-হাওড়ার আগামীদিনের প্রচার কর্মসূচি নিয়েও।
সূত্রের খবর এ দিনের বৈঠকের সময়েই দিল্লি থেকে ফোন আসে উচ্চতর নেতৃত্বর। ভাবী সদস্যদের যোগদানের আগে শুভেচ্ছা জানানো হয় আগামী দিনের জন্য। আপাতত দেখার হাওড়ার এই যোগদান মেলা কতটা আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে বিজেপি।
