সায়নের তৈরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেপ্লিকাও উচ্চতায় ৫১ সেন্টিমিটার। প্রকৃত ট্রফির উচ্চতার একদম সমান। সায়ন জানান, "ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের রেপ্লিকা তৈরি করাই আমার নেশা। এর আগে সমস্ত খেলার ট্রফি তৈরি করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে মরুদেশে, তাই সেই কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা বানালাম। রীতিমতো স্কেল দিয়ে মাপ করেই তৈরি করেছি।"
advertisement
ইতিমধ্যেই ইডেন গার্ডেন (Eden Graden Cricket Stadium) ,লর্ডস (Lords) সহ একাধিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সায়ন। সায়ন আরও জানান, "অরিজিনাল ট্রাফির মত একটা ট্রফি বানিয়েছি। তবে ছোট ছোট বেশ কয়েকটা ট্রফিও বানিয়েছি ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে। সব মিলিয়ে দুইদিন সময় লেগেছে বানাতে। যে সামগ্রীগুলো কাজে লাগে না সেগুলো দিয়ে দিয়ে জিনিসপত্র বানানো আমার নেশা।" ক্রিকেট ভক্ত সায়ন প্রথমে জাহাজ, ট্রেন, গাড়ির মডেল তৈরি করতে শুরু করেছিলেন ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে।
আরও পড়ুন : শনিবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মখোমুখি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা
একমাস আগে ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ইডেন গার্ডেন তৈরি করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সায়ন। সিএবির তরফ থেকে সায়নের তৈরি ইডেনের মডেলটি সংরক্ষণ করা হয়। এই মুহূর্তে ইডেনের ক্লাবহাউসে রাখা রয়েছে মডেলটি। মিউজিয়াম তৈরি হয়ে যাওয়া পর সেখানেই জায়গা পাবে সায়নের তৈরি ইডেন।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে এই মুহূর্তে বিরাটের থেকে রোহিতকে বড় ব্যাটসম্যান মনে করা হয়, বলছেন শোয়েব
সায়নের স্বপ্ন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফিটি দুবাইয়ে পৌঁছে যাক। আইসিসির হাতে নিজের সৃষ্টি তুলে দিতে চান সায়ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সায়নের হাতের কাজ। ২০১৬ সালে প্রথম বার বাবার সঙ্গে ইডেনে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন সায়ন। ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ দেখতে দেখতে ইডেনের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ম্যাচের থেকে বেশি ইডেনের সাজসজ্জা দেখেছিলেন সেদিন তৎকালীন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সায়ন বসাক। বাড়ি ফিরে ঠিক করেন, তৈরি করবেন ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়াম। সেই শুরু। এর পর চলছে তালিকায় একের পর এক সংযোজন ৷