প্রায় মাস চারেক যাবৎ এইধরনের বুলিং সহ্য করার পর নিরুপায় হয়ে ক্লাসের মধ্যে সহপাঠীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তানভীরের বিরুদ্ধে স্কুল কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান আতীক্ষের মা-বাবা। এরপর তানভীরের তিন বন্ধু ২৮ নভেম্বর স্কুল ছুটির পর স্কুল বাসে ওঠার সময় বাসের পার্কিং অ্যারেনায় ঘিরে ধরে আতীক্ষকে।
advertisement
বুট পড়া পা দিয়ে ক্রমাগত আতীক্ষকে বুকে হাতে পায়ে লাথি মারতে শুরু করে তানভীরের বন্ধু প্রত্যূষ তিওয়ারি। সেই সময় প্রত্যূষের দুই সহপাঠী সোহন সিং এবং বেদান্ত জয়সওয়াল আতীক্ষের দুই হাত দুই দিক দিয়ে ধরে রেখেছিল বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর শারীরিক এবং মানসিক আহত অবস্থায় সে বাড়ি ফিরে আসে।
বাড়িতে অসুস্থ বাবা। তাঁর সেবায় ব্যস্ত মা। সেদিন কিচ্ছু জানায়নি ক্লাস সেভেনের আতীক্ষ। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে তার লক্ষ্যনীয় শারীরিক অবনতি ধরা পড়ে বাবা মায়ের চোখে। ৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে লোপ পায় হাঁটার ক্ষমতা। শুক্রবার আতীক্ষের পরিবারের লোকজন সব অন্য অভিভাবকরা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান৷
