এদিন এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লার্নিং-সমস্যা অর্থাৎ পড়াশোনা বুঝতে অসুবিধা হত অর্কপ্রভর। সেই থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে। বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, পাশ করতে পারেনি অর্কপ্রভ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে অর্কপ্রভ বসু। ইন্টারনেটে আত্মহত্যার নানা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
অর্কপ্রভর বাবা রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কর্মী, মা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মরতা, দিদি কাজ করেন একটি ল’ফার্মে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বার একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি অর্কপ্রভ। এর পরে থেকেই মানসিক অবসাদ বাড়তে থাকে। চলছিল চকিৎসা। নিয়মিত ওষুধও খেত।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন গত ১২-১৩ বছর ধরে কর্মরত বাড়ির পরিচারিকা ফ্ল্যাটেই ছিলেন। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে অর্কপ্রভ একটি ঘরে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিল। তিনি ছিলেন অন্য ঘরে। চারটে নাগাদ পরিচারিকা দেখেন, ল্যাপটপ পড়ে রয়েছে, অর্কপ্রভ ঘরে নেই। এর পরে তিনি দেখেন, অন্য একটি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার ডেকে সাড়া না পাওয়ায় তিনি ভয় পেয়ে যান। কেয়ারটেকারকে ডেকে পাঠান। কেয়ারটেকারই মই বেয়ে উঠে, জানলা দিয়ে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে অর্কপ্রভর দেহ। এর পরে তিনিই পুলিশে খবর দেন।