এ দিকে প্রতিবারের মতোই ধর্মঘটে সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক এমন নোটিফিকেশন জারি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে ভোগান্তি এড়িয়ে সময় মতো অফিস পৌঁছনোই আপাতত চ্যালেঞ্জ সরকারি কর্মীদের। সরকারি-বেসরকারি বাসই ভরসা আজ বহু মানুষের।
বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘটের আহ্বায়ক সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, আইএটিইউ,ই. এইচএমএস, টিইউসিসি, এলপিএফ, সেবা, ইউটিইউসি-এর মতো সংস্থাগুলি। ধর্মঘটে দাবি তোলা হচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ানোর। ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বরা বলছেন, করোনায় ধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি, জিডিপি তলানিতে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কলকরাখানা-সহ নানা বেসরকারি সংস্থায় ছাঁটাই। ছোট ব্যবসায়ীরাও তীব্র সঙ্কটে। এই অবস্থায মানুষের আয় বাড়াতে কর্মসংস্থানের দাবিতে পথে নামছেন তাঁরা।
advertisement
আসলে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে এই ধর্মঘট বামেদের শক্তিপরীক্ষা। ধর্মঘটীদের ইস্যুগুলিকে সমর্থন করলেও ধর্মঘটকে সমর্থন করছে না তৃণমূল।
ধর্মঘটীদের দাবিদাওয়া-
১ রেগাপ্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, শহরেও এই ধরনের প্রকল্প তালু করতে হবে।
২ শ্রম কোড বিল বাতিল করতে হবে।
৩ তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
৪ অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য সার্বজনীন পেনশন চালু করতে হবে। মাথাপিছু মাসিক ১০ কেজি খাদ্যশস্য রেশন দিতে হবে।