ফলের গুনাগুন লাভ করতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই আসলে বিষ পান করছেন। এটা শুনে অনেকে হয়তো চমকে যাবেন! নইলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে! তবে একবার ভালভাবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
যে ফলের রস খেলেন, তার সঙ্গে কী কী মেশানো হয়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের রস বাজারে নয়, বাড়িতে বানিয়ে খান। বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় রম রম করে ফলের রস বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
চোখের সামনে যে ফলের রস বানিয়ে খাওয়াচ্ছে তাতে প্রাণ ভরে চুমুক দিচ্ছে সবাই। ফলে রস মিষ্টি হোক, এটা সবাই চায়। সারা বছর ফলের স্বাদ একই রকম থাকে না। কোনও সময় একটু টক থাকে,আবার কোনও সময় বেশ মিষ্টি। যেসব ফলওয়ালা ফুটপাত কিংবা রাস্তার ধারে ফলের রস বিক্রি করে, সাধারণভাবে তাঁদের বেশির ভাগের ফলের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকেই।
আরও পড়ুন- পরপর দু’দিন, সুন্দরবনে ফের এক মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে গেল বাঘ
এইরকম বেশ কিছু ফলের রসের দোকানে দেখা গেছে,যারা চোখের পলকেই ফলের রসের সঙ্গে রঙিন সিরাপ মিশিয়ে দিচ্ছে।আবার ফলের রস মিষ্টি করবার জন্য রসের সঙ্গে স্যাকারিন মেশায়। স্যাকারিন মেশালে একটু খেয়াল করে দেখবেন খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঠোঁট ও গলা মিষ্টি থাকছে। যেটা চিনিতে থাকে না।
আরও পড়ুন- ভেঙে পড়েছিল বিশাল জলের ট্যাঙ্ক, বর্ধমান স্টেশন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘যদি ফলের রসের দোকানদার রং মেশায়, তা হলে সেই রং খেলে মানুষের দেহে জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত স্যাকারিন যদি মানুষের শরীরে যায় তা হলে সেখান থেকে জটিল রোগের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ভবিষ্যতে যা স্নায়ু তন্ত্রের রোগ, পেটের রোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগকে টেনে আনতে পারে। এই অভ্যাস দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত।’