তাদের জেরা করে 'কোয়াতুল হিন্দ' নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। এই সংগঠনের নাম শুনে প্রথমে তাজ্জব হয়ে যান রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা। এরা সবাই একিউআইএস ( আল কায়দা ইন দ্যা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট)-এর সদস্য ছিল। সেহেতু নতুন সদস্য বানানোর জন্য 'কোয়াতুল হিন্দ ' নামে সংগঠনের নাম ব্যবহার করছিল।
advertisement
তবে 'কোয়াতুল হিন্দ' নামে এই সংগঠন কবে থেকে তৈরি? এর পিছনে কে আছে? কী ভাবে এদের কাজ চলে? এসটিএফ- এর গোয়েন্দারা ওদেরকে হেফাজতে নিয়ে জানবার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: 'কেউ কেউ বাড়িতে বসে থাকছে!' পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ মমতা
এসটিএফ সূত্রে খবর, এরা conversation app এবং Monocle app নামে এই দু'টি অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলত। ধৃত জঙ্গিরা ছাত্র বা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধী প্রচার চালাত বলে খবর। এদের সঙ্গে কত মানুষ জড়িয়ে আছে? সেটা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
এই সংগঠনটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে? নাকি এই সংগঠন অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তৃত? তবে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের প্রভাবে এরা প্রভাবিত।সেই জঙ্গি সংগঠন এদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করছে।ভারতের বিরুদ্ধে মগজ ধোলাই করে, বাহিনী তৈরি করাই এদের কাজ। সেই ভাবেই এই সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধি করছে বলে ধারণা।
তবে বার বার জঙ্গিরা বাংলাকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করছে।কারণ,বাংলা ও বাংলাদেশে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাওয়াটা অতি সহজ।এছাড়া এই দুই দেশের মানুষের ভাষা এবং আবেগ বিনিময়ের ধরন একই।উপরন্তু সীমান্ত এলাকার মানুষের আর্থিক দুর্বলতা রয়েছে।আর সেই সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। প্রতিবারই ভারতে জঙ্গি গ্রেফতার হয়।কিন্তু সেই জঙ্গি সংগঠনের শিকড় বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো দেশে হওয়ার জন্য,তারা অধরা থেকে যায়। তবে 'কোয়াতুল হিন্দ 'গোয়েন্দাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।