শমীক ভট্টাচার্য এই ‘মৌলবাদ’ থেকে মুক্তির জন্য সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কোনও একটি রাজনৈতিক দল মৌলবাদ থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। মৌলবাদ থেকে মুক্তি পেতে সব দলকে এগিয়ে আসতে হবে।” তাঁর এই আহ্বান বিরোধী ঐক্যের এক নতুন সূত্রপাত করতে পারে, তবে তার শর্ত হিসেবে ‘মুসলিম মৌলবাদ’ থেকে মুক্তির বিষয়টিকে সামনে আনা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনNewtown Dogs: ৪ জনের মৃত্যু, মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে আরও ৭ জন, কী হয়েছে এই সারমেয়দের? তদন্তে পুলিশ
যে কট্টর হিন্দুত্ববাদের কথা বিজেপির সঙ্গে বারংবার জড়িয়ে গিয়েছে তাকে দূরে সরিয়ে বর্তমান রাজ্য সভাপতি মনে করিয়েছেন মনুষ্য ধর্মকে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কিংবা বিধানচন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন -“শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কিংবা বিধানচন্দ্র রায়কে ভোট চাইতে বা রাজনীতি করতে গেরুয়া বসন পড়ে তিলক ধারণ করতে হয়নি। কিংবা হিজাব পড়তে হয়নি।” সুতরাং আগামী নির্বাচনের আগে বিজেপি তার এজেন্ডা যেমন স্পষ্ট করছে ঠিক তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে একজোট করে বিজেপির ভোটকে শক্তিশালী করতে চাইছে সে কথা বলাই বাহুল্য।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, শমীক ভট্টাচার্য এই মন্তব্যের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিজেপির মূল ভোটব্যাঙ্ককে চাঙ্গা করতে চাইছেন, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছেন যাতে তারা ‘মৌলবাদ’-এর প্রশ্নে বিজেপির সঙ্গে এক সুরে কথা বলতে বাধ্য হয়। তবে বামেদের তরফের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের। আগামী নির্বাচনের আগে নয়া সভাপতির একজোট হয়ে কাজের বার্তা ভোট বাক্সে কতখানি কাজে দেয় তার উত্তর সময় বলবে।