চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি অভিনয় জগতেরও পরিচিত মুখ কিঞ্জল৷ সূত্রের খবর, কিঞ্জলকে নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকেও চিঠি দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল৷ চিঠি পাঠান হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকেও৷
আরও পড়ুন: পুণেতে বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কতটা ভয়ের জিবিএস? জানুন বিশদে
advertisement
কিঞ্জলকে পাঠানো নোটিসে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানতে চেয়েছে, কি করে বিভিন্ন জায়গায় অভিনয় এবং অন্যান্য কাজ করে হাসপাতালে ডিউটি করেন তিনি? ডিউটি করলেও কখন তিনি ডিউটি করেন, সেই সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে কিঞ্জলের থেকে৷
পাশাপাশি, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কিঞ্জল নন্দ অনুমতি নিয়েছেন কি না৷ পিজিটি হিসেবে হাসপাতালে তাঁর ৮০ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে কি না, পিজিটি হিসেবে তিনি রাজ্য সরকারের থেকে কত টাকা স্টাইপেন্ড পান, তাও জানতে চেয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিল৷
কিঞ্জল নন্দ অবশ্য দাবি করেছেন, এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি তিনি পাননি৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আরজি কর আন্দোলনে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন, এবার একে একে তাঁদের হয়রান করতেই এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ এর আগে পিজিটি চিকিৎসক হয়েও ইএনটি সার্জেন হিসেবে প্র্যাক্টিস করার অভিযোগ উঠেছিল আর এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ারের বিরুদ্ধে৷ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ আসফাকুল্লা নাইয়াকেও শো কজ করে মেডিক্যাল কাউন্সিল৷ ওই জুনিয়র চিকিৎসককে তলব করে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা৷ যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷