হাঁসখালি তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করায় বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন নূন্যতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। মামলা পিছিয়ে দিতে সময় নেওয়ায় লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি ভূমিকায় বিরক্ত প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
প্রধান বিচারপতি লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির আইনজীবীকে বলেন,
"লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে ব্যাপারটা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা ইনস্ট্রাকশন না নিয়ে আসেন? দায়সারা ভাবে কাজ হয় না। যেখানে নির্দিষ্ট স্কিম আছে, সেখানে আবার আলাদা ইনস্ট্রাকশন দরকার কী আছে?"
হাঁসখালিতে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মৃতের পরিবারকে এখনও রাজ্যের তৈরি করা স্কিম অনুযায়ী ক্ষতি পূরণটুকু দেয়নি রাজ্য। এই ইস্যুতে দায়ের হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে দেরি করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, বড় সাফল্য সেনার! কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত ৩ জঙ্গি
যদিও এদিন রাজ্যের লিগল সার্ভিসেস অফরিটির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অন্য আরও একটি জনস্বার্থ মামলায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, দিল্লি নয়, সাত দিনের জন্য় অনুব্রতর ঠিকানা দুবরাজপুর থানা! তড়িঘড়ি বৈঠকে ইডি
সেই মামলা ৩০শে জানুয়ারি শুনানি। যদিও ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদনটি এখনও বিচারাধীন পর্যায়ে রয়েছে।